আমান উল্লাহ, বাকৃবি প্রতিনিধি: প্রতি বছর জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। জলবায়ুর পরিবর্তন মোকাবেলা করে কৃষিতে উৎপাদন বাড়াতে এগ্রোমেটেওরোলজির উপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। এগ্রোমেটেওরোলজির মাধ্যমে কৃষকেরা আবহাওয়ার পূর্বাভাসকে কাজে লাগাতে সমর্থ হবেন। এতে কৃষিতে উৎপাদন বৃদ্ধি পাব।
আজ সোমবার কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এগ্রোমেটেওরোলজি বিভাগের পাঠ্যক্রম উন্নয়ন’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের এগ্রোমেটেওরোলজি বিভাগের আয়োজনে কৃষি অনুষদীয় সম্মেলন কক্ষে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
জানা যায়, প্রকল্পটির বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছে। প্রকল্পটির আওতায় বাকৃবিতে কৃষি অনুষদের অধীনে এগ্রোমেটেওরোলজি নামে নতুন বিভাগ চালু হতে যাচ্ছে। স্নাতকোত্তর পর্যায়ে কোর্স চালুর মাধ্যমে ওই বিভাগের কার্যক্রম শুরু হবে। দিনব্যাপী কর্মশালায় এগ্রোমেটেওরোলজি বিভাগের কোসের্র পাঠ্যসূচি প্রণয়নের বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হয়।
এগ্রোমেটেওরোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. এ বি এম আরিফ হাসান খান রবিনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে এম জাকির হোসেন, কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আজিজুল হক, উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা কমিটির কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ময়মনসিংহ অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আশরাফ উদ্দিন এবং কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক ড. শাহ কামাল খান। এছাড়াও কর্মশালায় বিভিন্ন অনুষদের প্রায় শতাধিক শিক্ষক ও গবেষক উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে এম জাকির হোসেন বলেন, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে। বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়া শুরু করেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় আবহাওয়ার বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ জরুরি। তাহলে কৃষিবিষয়ক বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হবে। সমন্বিত কৃষি পরামর্শক পদ্ধতির মাধ্যমে কৃষকদের আবহাওয়ার তথ্য দিতে হবে। এতে শতকরা ৫ শতাংশ কৃষকও যদি সম্পৃক্ত হয় তাহলে প্রায় ০.২৮ মিলিয়ন টন ধান উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে।
কর্মশালায় প্রকল্প পরিচালক ড. শাহ কামাল খান বলেন, এই প্রকল্পের আওতায় এগ্রোমেটেওরোলজি বিভাগ দক্ষ জনবল তৈরীতে কাজ করবে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা করে কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধি করতে কাজ করবে। এছাড়াও এই প্রকল্পের আওতায় পরিবেশ সাংবাদিকতার বিষয়টিও গুরুত্ব পাবে বলে জানান তিনি।