ঢাবি প্রতিনিধি: আমার তো এখন পড়াশোনা করার বয়স। এক লাখ টাকা দিয়ে আমি কি করবো দুঃখ প্রকাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন কথাই বলছিলেন জুলাই বিপ্লবে পা হারানো অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র তামিম।
গত (৫ আগস্ট ) সরকার পতনের কয়েক ঘন্টা আগে মিরপুর ব্রিজের কাছে পুলিশের গুলিতে গুলি বিদ্ধ হয়ে আহত হন তামিম। এর ঠিক কয়েকদিন পরেই তামিম চিরতরে তার একটি পা হারিয়ে ফেলেন।
আহত তামিম বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের শুরু থেকেই আমি শিক্ষার্থীদের সাথে ছিলাম। আমার আম্মু বেশ কয়েকবার আমাকে আন্দোলনে যেতে নিষেধ করেছিল। কিন্তু আমি ক্লাস শেষ করেই আন্দোলনে যেতাম।
গত (৫ আগস্ট ) আমি আন্দোলনের অংশ হিসেবে মিরপুরের ব্রিজের কাছে চাই।আমি ব্রিজের নিচে দাঁড়িয়ে ছিলাম। সরকার পতনের ঠিক কয়েকঘন্টা আগে পুলিশ আমার পায়ে গুলি করে। আমি সেখানে ই লুটিয়ে পরি। এরপর আমাকে হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। কয়েকদিন পর আমার ডান পা কেটে ফেলা হয়।
সরকার থেকে কোনো সহায়তা পেয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে রাইজিং ক্যাম্পাসকে বলেন, প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা ছাড়া কিছু ই পাইনি। শুধু মাত্র আমাকে ওষুধ পত্রের টাকা দিয়েছিলো। আমি কোনো আর্থিক সহায়তা পাইনি। এখন শুনতেছি আহতদের নাকি এক লাখ টাকা দেওয়া হবে। এই এক লাখ টাকা দিয়ে আমি কয়দিন চলতে পারবো। আমার তো এখন পড়াশোনা করার বয়স।
এসময় দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন আমার পায়ের দাম কি শুধু এক লাখ টাকা। বাজারে জিনিসপত্রের যে দাম কতদিন ই বা আমি চলতে পারবো। এরপর আমার আর আমার পরিবারের কি হবে।
প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার ও সরকার পতনের আন্দোলনকে ঘিরে সারাদেশে পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। এতে শত শিক্ষার্থী নিহত হন। এখনো বিছানায় ব্যথায় কাতরাচ্ছেন আহতরা।