কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায় ভূমিহীন মজিরনের স্বামী মারা গেছেন বছর কয়েক আগে। বসবাস করেন প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরে। সেই ঘরেই বিদ্যুৎ বিল এসেছে ৫৪ হাজার টাকা। এত পরীমান বিদ্যুৎ বিল দেখে চরম বিপাকে পড়েছেন মজিরন বেগম। এ ঘটনায় তিনি উপজেলা চেয়ারম্যানকে মৌখিক অভিযোগ জানিয়েছেন।
মজিরন বেগম উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের ছোট কুষ্টারী গ্রামে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে বাস করেন । ওই প্রকল্পে মজিরনসহ ছয় পরিবার বসবাস করছে। মজিরনের ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগও রয়েছে। অন্যের বাড়িতে কাজ করে কোন মতে জীবিকা নির্বাহ করেন তিনি। কিন্তু চলতি মাসের বিদ্যুৎ বিল দেখে যেন আকাশ ভেঙে পড়ে তার মাথায়। কেননা কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি মে মাসে মজিরনের বিদ্যুৎ বিল দিয়েছে ৫৪ হাজার ২৩৭ টাকার। তার বৈদ্যুতিক মিটারের বর্তমান রিডিং ৬৯৪৫ এবং পূর্ববর্তী রিডিং ২৮৭৭। মজিরনের ব্যবহৃত ইউনিট দেখানো হয়েছে ৪ হাজার ৬৮। ২৭ মে জরিমানা ছাড়া বিল পরিশোধের তারিখ উল্লেখ করে তাকে ৫৪ হাজার ২৩৭ টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়েছে।
মজিরন জানান, আমার ঘরে একটা ফ্যান ও একটা লাইট (বাল্ব) জ্বলে। আর বারান্দায় একটা লাইট আছে। গত মার্চ ও এপ্রিল মাসে ২৩০ টাকা করে বিল আসছিল। কিন্তু এই মাসে বিল দিছে ৫৪ হাজার টাকা। আমারতো মাথা ঘুরে গেছে। এটা কেমন করে হয়! আমি কেমন করে এই বিল দেব? আমি বিষয়টা চেয়ারম্যানকে জানাইছি।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রুকুনুজ্জামান শাহীন বলেন, এই মহিলা গতকাল সকালে আমার অফিসে এসে মৌখিক অভিযোগ জানিয়েছেন। পরে বিষয়টি আমি চিলমারী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএমকে জানিয়েছি সমাধানের জন্য।
কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) মহিতুল ইসলাম বলেন, আমি বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।