The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
মঙ্গলবার, ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪

এক পা দিয়ে লিখে জিপিএ ৫ পেয়েছে কুড়িগ্রামের মানিক

জন্ম থেকে শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়েও অদম্য ইচ্ছে আর আগ্রহের জ্বলন্ত উদাহরণ সৃষ্টি করে পা দিয়ে লিখে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া মানিক রহমান (১৬) জিপিএ ৫ পেয়েছেন। মানিকের দুটি হাত না থাকায় পা দিয়ে লেখেন। কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী জছি মিঞা মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। মানিক রহমান উপজেলার চন্দ্রখানা গ্রামের মিজানুর রহমান ও মরিয়ম দম্পতি ছেলে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অদম্য মেধাবী এই শারীরিক প্রতিবন্ধী মানিক রহমানের দুই হাত না থাকায় পা দিয়ে লিখে ফুলবাড়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (পাইলট) কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। সে জেএসসি পরীক্ষায়ও জিপিএ ৫ পেয়েছেন। এবারে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়ে সবাইকে চমকে দিলেন।মানিক রহমান বলেন, আল্লাহর কাছে লাখ শুকরিয়া আমি জিপিএ ৫ পেয়েছি। আমি বাড়িতে বসে আমার কম্পিউটারে পরীক্ষার ফলাফল দেখেছি। আমি খুবই আনন্দিত। আমার স্বপ্ন আমি লেখাপড়া শেষ করে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হবো।

মানিক রহমানের মা মরিয়ম বেগম বলেন, আমার ছেলে জন্ম থেকেই শারীরিক প্রতিবন্ধী। লেখাপড়ায় তার খুব আগ্রহ। আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করছি তাকে। আজকের রেজাল্ট শুনে আমি খুবই আনন্দিত। সবাই দোয়া করবেন আমার ছেলেটা লেখাপড়া শেষ করে যেন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হতে পারে।বাবা ওষুধ ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান বলেন, আমার দুই ছেলে তার মধ্যে মানিক বড়। জন্মের পর থেকেই সে শারীরিক প্রতিবন্ধী। ছোট থেকেই তাকে পা দিয়ে লেখার অভ্যাস তৈরি করি। আমার ছেলে যখন ভালো রেজাল্ট করে তখন খুব ভালো লাগে।

ফুলবাড়ী জছি মিঞা মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবেদ আলী খন্দকার বলেন, মানিক রহমান ছাত্র হিসেবে খুবই ভালো। সে জেএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়েছে। তাছাড়াও ট্যালেন্ট ফুল বৃত্তিও পেয়েছে। আমার দীর্ঘ বিশ্বাস ছিল এসএসসি পরীক্ষায় সে জিপিএ ৫ পাবে। আজ তার ফলাফলে আমরা খুবই খুশি।কুড়িগ্রাম জেলা শিক্ষা অফিসার মো. শামছুল আলম আলম বলেন, মানিক রহমান জিপিএ ৫ পেয়েছেন এটা গর্বের বিষয়। আমি মানিক রহমানের উত্তরোত্তর মঙ্গল কামনা করি।

তিনি আরও বলেন, কুড়িগ্রাম জেলায় মোট ফলাফলের রিপোর্ট এখন হাতে আসেনি। তবে, এবছর জেলার ৯ উপজেলায় ৫৭টি কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থী ২৭ হাজার ১৫১ জন। এর মধ্যে মাধ্যমিক এ ৩৪টি কেন্দ্রে ১৮ হাজার ৮৩৯ জন, ভোকেশনালে ১১টি কেন্দ্রে দুই হাজার ৭৫৭ জন ও মাদরাসায় ১২টি পরীক্ষাকেন্দ্রে পাঁচ হাজার ৫৫৫ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছে।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.