The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪

এক ডোজ টিকা নিলেই ১২ বছরের বেশি বয়সীরা স্কুলে যেতে পারবে

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এখন থেকে ১২ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষার্থীদের স্কুলে যেতে হলে করোনার অন্তত এক ডোজ টিকা নিতে হবে, না হলে স্কুলে যেতে পারবে না।

আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সভার সিদ্ধান্ত জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এসব কথা বলেন। তিনি বলেন এই বিষয়ে গত সোমবার (৩ জানুয়ারি) আন্তমন্ত্রণালয় সভায় আলোচনা হয়েছিল। আজকে তা নিশ্চিত করা হয়েছে। এ সময় এর আগে দেওয়া স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বক্তব্য এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার কথাও উল্লেখ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

তখন সাংবাদিকেরা জানতে চান, তাহলে কি বার্তাটি এমন যে এখন থেকে ১২ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষার্থীদের স্কুলে যেতে হলে করোনার অন্তত এক ডোজ টিকা নেওয়া লাগবেই? জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন হ্যাঁ। নির্দেশনা দিয়ে দেওয়া হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছে যে টিকা ছাড়া কেউ স্কুলে আসতে পারবে না। ৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত আন্তমন্ত্রণালয় সভায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় এটি নিশ্চিত করেছে। মৌখিকভাবে তারা নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছে, হয়তো অফিশিয়ালি যায়নি।
এ সময় সাংবাদিকেরা আরও জানতে চান, এখনো তো অধিকাংশ শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হয়নি, তাহলে এটি কীভাবে হবে? জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, টিকা তো এখন গ্রামগঞ্জে সহজলভ্য, এ জন্যই আরোপ করা।

মন্ত্রিসভার বৈঠকে নির্ধারিত বিষয়ের বাইরে করোনার নতুন ধরন অমিক্রন মোকাবিলায় বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এর আগে ৩ জানুয়ারি আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠকেও আলোচনা হয়েছিল।

আন্তমন্ত্রণালয় সভার আলোচনা, এর আগে এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বক্তব্য এবং আজকের নির্দেশনার কথা বলতে গিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, করোনার টিকা কার্যক্রম আরও জোরদার করতে হবে। বুস্টার ডোজের কার্যক্রম আরও কীভাবে বিস্তৃত করা যায়, সেটি দেখতে হবে। বুস্টার ডোজ দেওয়ার বয়স ৬০ বছর বা তার বেশি রাখা হবে নাকি আরও কমানো যায়, সেটা চিন্তা করতে হবে, কারণ, পর্যাপ্ত টিকা আছে।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, অমিক্রনের বিষয়ে বিশেষভাবে বলা হয়েছে, এখন থেকে রেস্তোরাঁ, শপিং মল, প্লেন ও ট্রেনে যাঁরা যাবেন, তাঁদের একটি সময় দিয়ে করোনার দ্বিতীয় ডোজ টিকা ছাড়া যাতে না যায়, সে রকম একটি চিন্তাভাবনার দিকে যেতে হবে। এ রকম বিধি আরোপের একটি বিষয় আসছে।

রেস্তোরাঁয় এই বিষয়টি কীভাবে তদারক করা হবে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রতিটি শহরে তদারক দল (ভিজিলেন্স টিম) থাকবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দেখবে। কারিগরি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে একটি সময় দিয়ে এটি করা হবে। কারণ, অমিক্রন ঠেকাতে গেলে কিছু কঠোর ব্যবস্থায় যেতে হবে।

করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে অন্যান্য সিদ্ধান্ত বা নির্দেশনার কথা বলতে গিয়ে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বাড়ির বাইরে কোনো অবস্থায় মাস্ক ছাড়া যাওয়া যাবে না। এখন থেকে এ বিষয়ে সচেতনতা ব্যবস্থার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে চেষ্টা করতে হবে। এ ছাড়া সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সমাগম সীমিত রাখতে হবে। মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্যবিধি বাধ্যতামূলক করতে হবে।

করোনা পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে হয়তো গণপরিবহনে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলাচলের সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে জানান আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেন, এখনো তা হয়নি। বিধিনিষেধ (লকডাউন) দেওয়ার বিষয়ে এখনো কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর মন্ত্রীরা সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষ থেকে সভায় যোগ দেন।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.