কোরবানির বাজারে প্রতি বছর কোথাও দৃষ্টি কাড়ে শাহিওয়াল, কোথাও রাজস্থানি। নিয়মে না থাকলেও হাটে উঠে বিশাল দেহী ব্রাহামা। আকারে ছোট, দামে বেশি হলেও নজর কাড়ে ভুটানি গরু। সব মিলিয়ে কোরবানির বাজারে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের নজর কাড়ার চেষ্টার কমতি থাকে না খামারিদের।
চলতি বছর আনুষ্ঠানিকভাবে কোরবানির হাট শুরু না হলেও বেচাকেনা চলছে খামারে। সেখানে এবার অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে ৷ দেখা মিলেছে এমন এক গরুর, যার দাম হাঁকা হচ্ছে কোটি টাকা। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটিই এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ দামি গরু।
দেশের সবচেয়ে বড় এগ্রো ফার্ম হিসেবে পরিচিত সাদিক এগ্রোর কাছে রয়েছে গরুটি। প্রতিষ্ঠানটির মালিক মো. ইমরান হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, গরুটি দেশের কোরবানির বাজারে এবার সবচেয়ে বড় আকর্ষণ। দাম এক কোটি টাকা।
তিনি জানান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাহামা জাতের গরু এটি। তার ভাষায়, ‘মাংস বা ওজনের দিক থেকে নয়। বংশ মর্যাদার কারণে এই গরুটির দাম বেশি।’
সাদা রঙের এই গরুটির ওজন প্রায় তেরশ কেজি। দৈহিক গড়নেও বেশ আহামরি নয়। গড়নের দিক থেকে এর চাইতেও বড় গরু দেখা গেছে সাদিক এগ্রোর খামারে। এর আগেও ৪০ থেকে ৫০ লাখ টাকায় সাদিক এগ্রো যেসব গরু বিক্রি করেছে, তার আকারও ‘ঢাকার কিং’ নামে কোটি টাকার এই গরুর কাছাকাছি।
এবারের ঈদের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে সাদিক এগ্রোর মালিক ইমরান হোসেন বলেন, ‘আমাদের কাছে দেড় লাখ টাকা থেকে কোটি টাকার পর্যন্ত গরু আছে। বিভিন্ন জাতের গরু আছে। দামও ক্রেতার সাধ্যের মধ্যে। কারণ আমরা গত বছরের চাইতে এবার পাঁচ শতাংশ দাম কমিয়েছি।’
সাদিক এগ্রোর মোহাম্মদপুরের খামার ঘুরে দেখা গেছে, ভারতীয় শাহিওয়াল, রাজস্থানি গরু এবার ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের নজর কাড়ছে। বিশাল দেহের অধিকারী একেকটি গরুর দাম পাঁচ থেকে ১৫ লাখ টাকা। রয়েছে ব্রাহামা জাতের বেশ কিছু গরু।
এছাড়া আকারে ছোট হলেও বেশ দামি প্রজাতির ভুটানি গরুও দেখা গেছে খামারটিতে। একেকটি গরুর দাম চার থেকে ছয় লাখ টাকা পর্যন্ত।
গরুর পাশাপাশি সাদিক এগ্রোর খামারে দেখা গেছে কোরবানি উপযোগী বিভিন্ন জাতের ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা।