ডেস্ক রিপোর্ট: একই দিনে জাতীয় ও ইউপি নির্বাচন এবং ইউপি নির্বাচনের পদ্ধতি পরিবর্তন করে মেম্বারদের ভোটে চেয়ারম্যানদের নির্বাচিত করা যায় কি না সেটা নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী।
বুধবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় গণ্যমান্যদের সঙ্গে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সদস্যদের এক মতবিনিময় সভায় আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের চিন্তা রয়েছে একইদিনে ইউপি আর জাতীয় নির্বাচন হবে। তাহলে বুথ দখলটা আর সহজ হবে না। তখন মেম্বার প্রার্থীরা ওয়ার্ড ভিত্তিক পাহারা দেবে। তাহলে কেন্দ্রীয়ভাবে কেউ বুথ দখল করতে পারবে না। এ বিষয়ে আমরা সুপারিশ করব।
তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য সপ্তাহে একদিন জেলা প্রশাসকদের সময় বেঁধে দেওয়া হবে। ওই দিন জেলা প্রশাসকেরা অন্য কোনো কাজ করবে না, শুধু সাধারণ মানুষের কথা শুনবেন।
জনপ্রশাসনে লোকবল কমিয়ে আনার সুপারিশ করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রশাসনে অনেক লোক নিয়োগ করা হয়। কিন্তু সবাইকে দিয়ে কাজ হয় না। প্রয়োজনে ছাড়া সরকারের এতো জনবল দরকার নেই। এ ধরনের নিয়োগ বন্ধ করার ব্যাপারে সুপারিশ করা হবে। তবে পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো দরকার, কারণ বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা অনেক কঠিন হয়ে পড়ছে। এই জায়গায় পুলিশের সংখ্যা বাড়াতে হবে। তবে গত সরকার যেভাবে করেছে সেভাবে নয়।
আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, ফরিদপুরকে বিভাগ করার চিন্তা রয়েছে। ফরিদপুর বিভাগ হওয়ার কথা ছিল কিন্তু তা করা হয়নি। কারণ আগের সরকার প্রধানের ইচ্ছা ছিল গোপালগঞ্জকে বিভাগ করা। সেটাতো সম্ভব না। আমরা ঠিক করেছি, ফরিদপুরকেই আলাদাভাবে বিভাগ করব।
এ সময় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান, ফরিদপুর জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্যা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।