চট্টগ্রামে এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে অসঙ্গতি ধরা পড়েছে। একটি বিষয়ে নির্ধারিত ২০০ নম্বরের চেয়ে বেশি পেয়েছেন অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থী। এ ছাড়া ফলাফল ঘোষণার পরপর ওয়েবসাইটে পাওয়া নম্বর ফর্দে প্রাপ্ত নম্বর সন্ধ্যা গড়াতেই পাল্টে গিয়ে আরও কম/বেশি হয়ে যায়। অন্যদিকে কোনো কোনো নম্বর ফর্দে আবার প্রাপ্ত নম্বর ‘এ’ প্লাসের হলেও গ্রেড উল্লেখ করা হয়েছে ‘এ’ মাইনাস। এইচএসসির মতো পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলে এমন অবস্থায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করেছে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড। কমিটির সদস্যরা হলেন- পটিয়া সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এ এইচ এম সাজেদুল হক ও চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সহকারী সচিব সম্পাতা তালুকদার। সেই সঙ্গে বোর্ডের পক্ষ থেকে থানায় দায়ের করা হয়েছে সাধারণ ডায়েরী। তিন সদস্যের কমিটিকে আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এবার (২০২১ সালে) পরীক্ষায় গ্রুপভিত্তিক যে তিনটি বিষয়ে পরীক্ষা দিতে হয়েছে, এর প্রতিটিতে দুটি করে পত্র রয়েছে। প্রতি পত্রে ১০০ করে দুটি পত্র মিলে একটি বিষয়ে মোট নম্বর (মার্কস) ২০০। অর্থাৎ একটি বিষয়ে ২০০ নম্বরের মধ্য থেকেই শিক্ষার্থীদের নম্বর দেওয়া হয়। কিন্তু মোট নম্বর ২০০ হলেও দুই পত্র মিলে একটি বিষয়ে ২০০-এর বেশি নম্বরও পেয়েছে প্রায় ২০ জন শিক্ষার্থী।
বোর্ড সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে দীর্ঘদিন ধরেই চেয়ারম্যান নেই। ভারপ্রাপ্ত দিয়েই চলছে। এছাড়া বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে একাধিক গ্রুপ-উপগ্রুপ সৃষ্টি হয়েছে। দায়িত্বশীলদের প্রশ্নবিদ্ধ এবং বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করতে বোর্ডেরই একটি চক্র এসব ঘটনা ঘটাতে পারে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল আলীম বলেন, দুর্নীতির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। একই সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি কঠোর নজরদারির মধ্যে রেখেছেন। এ ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে এলে এবং বোর্ডের কেউ জড়িত থাকলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।