চীনে এইচএমপিভি ভাইরাসের সংক্রমণকে ঘিরে সারা বিশ্ব উত্তাল! এরই মধ্যে বিশ্বের একাধিক শহরে এইচএমপিভি (হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস) আক্রান্তের খবর পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে,এই ভাইরাস নিয়ে অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। কারণ এইচএমপিভি ভাইরাস বিজ্ঞানীদের আগে থেকেই পরিচিত। ২০০১ সালে প্রথম এর আবিষ্কার হয়েছিল। এই আবিষ্কারেরও ৬০ বছর আগে থেকে ভাইরাসটি মানবজগতে রয়েছে। ফলে কোভিডের মতো নভেল বা নতুন ধরনের ভাইরাস এইচএমপিভি নয়। তাই অহেতুক আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। যাদের কোমর্বিডিটি অর্থাৎ অতিরিক্ত সুগার, শ্বাসকষ্টের সমস্যা বা হার্টের রোগ রয়েছে, তাদের একটু সতর্ক থাকতে হবে। কারণ তাদের ক্ষেত্রে কিছুটা ভয়ের হতে পারে এই ভাইরাস। সুতরাং সতর্ক হওয়া জরুরি এবং উপসর্গগুলোর ওপর নজর রাখা প্রয়োজন।
এইচএমপিভি ভাইরাস নিয়ে আজকের কলাম লিখেছেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী চিকিৎসক- ডা. মো. ফরিদ উদ্দিন, এমবিবিএস(ঢাবি), এমএসসি(যুক্তরাজ্য), সিসিডি (বারডেম), ফেলোশিপ ইন ডায়াবেটিস (সিএমসি হাসপাতাল- ভারত)।
এইচএমপিভির উপসর্গঃ এইচএমপিভি মূলত করোনা, সাধারণ ফ্লু বা ইনফ্লুয়েঞ্জার মতোই। এটি প্রথম শনাক্ত হয় ২০০১ সালে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শিশুরা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়, তবে বয়স্কদেরও সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে। এর উপসর্গ সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জা বা নিউমোনিয়ার মতো।
উপসর্গগুলো হলোঃ
>> সাধারণ সর্দি
>> প্রচুর কফ হওয়া
>> নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া
>> গলা ব্যথা ও জ্বর
>> কিছু ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট
এই ভাইরাস শ্বাসযন্ত্রের উপরিভাগ ও নীচের অংশে সংক্রমণ ঘটায়।
সতর্কতাঃ এইচএমপিভি করোনার মতোই হাঁচি-কাশির ড্রপলেটের মাধ্যমে ছড়ায়। এছাড়াও সংক্রামিত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা, হাত মেলানো, কিংবা দূষিত হাত মুখ বা চোখে লাগানোর মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়াতে পারে।
রক্ষা পেতে যা করতে হবেঃ
>>বারবার সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।
>> হাত না ধুয়ে মুখ বা চোখে হাত দেওয়া যাবে না।
>> ভিড়ের মধ্যে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
>> যেসব জায়গায় হাত পড়ে, সেগুলো পরিষ্কার রাখতে হবে।
>> স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে।
>> সতর্কতা অবলম্বন করলেই এইচএমপিভি থেকে সহজেই নিজেকে এবং আশপাশের মানুষকে সুরক্ষিত রাখা সম্ভব।