ডেস্ক রিপোর্ট: অস্কারজয়ী সুরকার ও সংগীত পরিচালক এআর রহমান ও সায়রা বানু ২৯ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টেনেছেন। সংসার জীবনের গতি থমকে দাঁড়ালেও তারা এখন ভিন্ন পথে হাঁটছেন। আর এ সংসার ভাঙনের নেপথ্যে কারণ নাকি এআর রহমানের নিজের ব্যান্ডের গিটারিস্ট মোহিনি দের সঙ্গে সম্পর্ক। এ নিয়ে গিটারিস্ট বলেছেন, অনেকেই আমার পিতৃপ্রতিম। তাদের মধ্যে অন্যতম এআর রহমান। দয়া করে ওকে প্রেমের গুঞ্জনে জড়াবেন না।
যদিও এ গুজব নিয়ে সাবেক রহমানপত্নী সায়রা বানু বলেছেন, এআর রহমান কারও সঙ্গে সম্পর্কে জড়িত নন। আমি তাকে সম্পূর্ণভাবে বিশ্বাস করি এবং খুব ভালোবাসি। কোনো নতুন সম্পর্কের জন্য আমাদের সম্পর্কে প্রভাব পড়েনি। এ বিষয়টি অন্যরকম। তিনি আমার জন্য অনেক কিছু করেছেন, এখনো করেন। তাই অনুগ্রহ করে তার সম্পর্কে মিথ্যা গুজব ছড়াবেন না। ঈশ্বর তার মঙ্গল করুন। ‘বিশ্বের সেরা পুরুষ’ বলেও জানিয়েছেন সায়রা বানু।
আনন্দবাজার সূত্রে জানা গেছে, সাড়ে আট বছর মোহিনী দে এআর রহমানের দলে বেসিস্ট হিসাবে কাজ করেছেন। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে সঙ্গীদের সঙ্গে তাদের বিবাহবিচ্ছেদের খবর প্রকাশ্যে আসে। এর ফলে গুঞ্জন শুরু হয়, মোহিনী আর রহমান নাকি প্রেমে। তাই তারা পুরোনো বিয়ে ভেঙে নতুন সম্পর্কে আবদ্ধ হতে চলেছেন!
বিষয়টি নিয়ে তুমুল সমালোচনা শুরু হতেই একে একে মুখ খুলেছেন প্রত্যেকে। মা-বাবার ২৯ বছরের দাম্পত্যে দাঁড়ি মেনে নিতে পারেননি রহমানের তিন সন্তান। তারা প্রত্যেকে বিষয়টি নিজেদের মতো করে ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু বাবার নামে এই অপবাদ তারা মেনে নেবেন কী করে? প্রতিবাদ জানিয়েছেন তারা।
মুখ খুলেছেন রহমানের স্ত্রী সায়রা বানুও। তিনিও তার সাবেককে এভাবে অকারণ হেনস্তা হতে দেখে বিব্রত। জানিয়েছেন, রহমানের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছে ঠিকই, তাই বলে এতটা খারাপ মানুষ নন তিনি। বিরক্তি প্রকাশ করেছেন রহমান নিজেও। সংবাদমাধ্যমকে সাফ জানিয়েছেন অস্কারজয়ী সুরকার— বিষয়টি নিয়ে বেশি জলঘোলা হলে আইনি পদক্ষেপ নেবেন তিনি। বেঁধে দিলেন চব্বিশ ঘণ্টার সময়সীমা।
বাকি ছিলেন যাকে নিয়ে এত গুঞ্জন, সেই গিটারিস্ট মোহিনী দে। সোমবার সন্ধ্যায় তিনিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, আমার জীবনে পিতৃপ্রতিম অনেকেই রয়েছেন। তাদের মধ্যে অন্যতম রহমান। আট বছরেরও বেশি সময় তার সঙ্গে কাজ করেছি। ওকে অকারণে কলঙ্কিত করছেন। তিনি বলেন, রহমান আমার বাবার থেকেও বড়।
এ মুহূর্তে বিদেশে রয়েছেন মোহিনী দে। সেখানে তার একের পর এক অনুষ্ঠান চলছে। রহমানের দলত্যাগ করার পর এখন তার নিজের দল হয়েছে। তাই নিয়ে তিনি দারুণ খুশি। যদিও নিন্দুকেরা ছেড়ে কথা বলার পাত্র নয়। তাদের কৌতূহল— তাহলে কি বাবার পরামর্শ নিয়েই মেয়ে আর বাবা একদিন আগে ও পরে বিয়ে ভাঙার সিদ্ধান্ত নিলেন?