The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
মঙ্গলবার, ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪

উপদেষ্টা নাহিদ সম্মাননা স্মারক প্রত্যাখানের পর সংবাদ সম্মেলন করলেন বেরোবি শিক্ষক

বেরোবি প্রতিনিধি: রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম আওয়ামী লীগের দোসরদের সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয় জেনে তিনি সম্মাননা স্মারক প্রত্যাখ্যান করেন। বিতর্কিত বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন বিজ্ঞান অনুষদের ডীন প্রফেসর কমলেশ চন্দ্র রায়।

আজ ১৫ অক্টোবর সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ার দ্বিতীয় তলায় সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি বলেন, তার সহকর্মী মশিউর জোরাজুরি করে সম্মতি নিয়েছিল বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি পদে। তাছাড়াও এটি একটি অরাজনৈতিক সংগঠন।

তিনি আরও বলেন, গত ১২ অক্টোবর ২০২৪ রোজ শনিবার বেগম রোকয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬ তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে অন্তর্বতীকালীন সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা জনাব মোঃ নাহিদ ইসলাম- এর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্য ডিন বৃন্দের সাথে বিজ্ঞান অনুষদের ডিন হিসেবে আমার হাতেও একটি সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়। উক্ত আলোচনা সভা চলাকালীন পরবর্তীতে একজন শিক্ষার্থীর মন্তব্যের কারণে একটি অনাকাঙ্খিত বিতর্কের সৃষ্টি হয়।

এ কথা সত্য যে, বিগত দিনে বঙ্গবন্ধু পরিষদে আমার সংশ্লিষ্টতা থাকলেও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরুর সময় হতে আমি উক্ত সংগঠনের সকল কার্যক্রম থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করি যা ইতিপূর্বেই আমার গণিত বিভাগের সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা কর্মচারীদের অবহিত করেছি এবং বিভাগীয় প্রধান হিসেবে আমার বিভাগের সংশ্লিষ্ট সকলকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী যে কোন ধরণের রাজনৈতিক দলের সদস্য কিংবা কোন রাজনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িত না থাকার বিষয়ে সতর্ক করি। এ বিষয়ে বিভাগের সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা কর্মচারী একমত পোষণ করেন। আমি দীর্ঘদিন (প্রায় ১১ বছর) রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সুনামের সহিত গণিত বিভাগে শিক্ষকতা করেছি। আমার শিক্ষকতা জীবনের প্রায় ২৩ বছরে কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিলামনা। গত ১২ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের অনুষ্ঠানে আমি শারদীয় দুর্গা উৎসব বাদ রেখে শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে ডিন হিসেবে উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের একটি সুন্দর আলোচনা সভা চলাকালীন প্রশ্ন উথ্যাপন করে কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমন করা উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে আমি মনে করি। এতে করে প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান হানি করা হয়েছে বলে প্রতিয়মান হয়। উল্লেখ্য যে, বিতর্ক সৃষ্ট হওয়ায় বিজ্ঞান অনুষদের ডিন হিসেবে আমার হতে দেওয়া সম্মাননা স্মারকটি তাৎক্ষণিকভাবে অনুষ্ঠান মঞ্চেই প্রত্যাহার করি।

তিনি আরো বলেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের আলোচনা সভায় উদ্ভুত পরিস্থিতি আমার শিক্ষকতা জীবনে অত্যন্ত অপমানজনক এবং খুবই পরিতাপের বিষয়। জুলাই বিপ্লবে প্রথম শহীদ আবু সাইদসহ সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.