The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪

উন্নয়ন না দেখলে চোখের ডাক্তারের কাছে যান: প্রধানমন্ত্রী

দেশের উন্নয়ন যারা দেখতে পান না তাদের চোখ পরীক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, দলের ঘোষণাপত্র ও নির্বাচনি ইশতেহারে দেয়া উন্নয়ন পরিকল্পনা একে একে বাস্তবায়ন হচ্ছে। তাই সব ক্ষেত্রেই উন্নয়ন হয়েছে। যারা এসব উন্নয়ন দেখতে পান না তাদের চোখ পরীক্ষা করা দরকার। এজন্য সরকার আই ইনস্টিটিউটও করেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আজ রবিবার মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২২ উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে দলের প্রধান এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এ সভায় প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন।

সরকারপ্রধান বলেন, আওয়ামী লীগের ঘোষণাপত্রে যে অর্থনৈতিক নীতিমালা প্রণয়ন করেছি, নির্বাচনি ইশতেহারে ঘোষণা দিয়ে যে যে পদক্ষেপ নেয়ার কথা আমরা বলেছি, একে একে তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। সুপরিকল্পিতভাবে আমরা উন্নয়নের কর্মসূচি গ্রহণ করেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকের চোখে কোনো উন্নয়নই নাকি দেশে হয় নাই। এখন বলতে হয় যে আমরা তো একটা আই ইনস্টিটিউট করে দিয়েছি। যারা বক্তৃতা দেয় উন্নয়ন হয় নাই, চোখে দেখে না, আমার মনে হয় তাদের চোখ পরীক্ষা করা দরকার। তাহলে হয়তো দেখতে পাবে যে উন্নয়ন হয়েছে কি না।

‘তাদের চোখে পড়ে না শতভাগ বিদ্যুৎ, এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়েছে, ডিজিটাল বাংলাদেশ তো বিদ্যুৎ ছাড়া চলতে পারে না। আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ তারা ব্যবহার করছে। এটা উন্নতি না?’

তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল, রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র এগুলো চোখে পড়ে না। এগুলো উন্নয়নের লক্ষণ না? দারিদ্র্যের হার হ্রাস পেয়েছে, এই উন্নয়ন তাদের চোখে পড়ে না? খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি, এটা তাদের চোখে উন্নয়ন না?’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি জানি, অনেকে আছে দেশে কোনো উন্নতিই দেখে না। তাদের যদি চোখ খারাপ থাকে তাহলে আমার কিছু বলার নাই। তারা দেখে না, কেন দেখে না সেটা হচ্ছে, দেখার ইচ্ছে নাই, তাই দেখে না। কিন্তু আমাদের উন্নয়নের যে কর্মসূচি তা বাস্তবায়নে সুপরিকল্পিতভাবে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি।’

গ্রামের মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকারের নেয়া পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ৯৬ সালে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প নিয়েছিলাম, খালেদা জিয়া এসে সেটাকে গলা টিপে মেরে ফেলেছিল। যা হোক পরে সেটাকে আমরা ‘আমার বাড়ি আমার খামার’ নাম দিয়ে গ্রামের কোনো মানুষের ঘরে যেন কোনো অভাব না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রেখে প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষকে আর ঋণের বোঝা টানতে হবে না। বরং তারা নিজেরা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে এবং তাদের ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের ব্যবস্থা করে দেব, এ প্রকল্প আমরা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। যার মাধ্যমে দারিদ্র্য হ্রাসে বিরাট সক্ষমতা আমরা অর্জন করছি।’

প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, ১৯৫৮ সালের মার্শাল ল জারির পরেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংকল্প করেছিলেন, এ দেশকে স্বাধীন করতেই হবে। যদিও ভাষার ওপর আঘাত আসার পরপরই এমন চিন্তা শুরু করেছিলেন। মাওলানা ভাসানী আলাদা দল করলে সে দলকে সুসংগঠিত করার জন্য তিনি মন্ত্রিত্ব ছেড়েছিলেন। কারণ, একটা সুসংগঠিত দল হলেই সংগ্রাম করা যায়, স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুতি নেয়া যায়। সে প্রস্তুতিই তিনি নিয়েছিলেন।

১৯৬২ সালে উদ্যোগ নিলেও কার্যকর করতে পারেননি। কিন্তু পরিকল্পনা অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে থাকেন। কিন্তু বিপরীতে বিএনপি কী করেছিল? এমন প্রশ্ন তোলেন তিনি।

বলেন, জিয়াউর রহমান সেক্টর কমান্ডার থাকলেও যুদ্ধক্ষেত্র থেকে দূরে থাকতেন। পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তা তাকে প্রশংসা করে চিঠি লেখে। কেন? যখন এ দেশে পাকিস্তানিরা গণহত্যা চালাচ্ছিল, তখন শত্রুপক্ষের কেউ কেন তাকে চিঠি লিখবে? নিশ্চয় সে তাদের পক্ষে কাজ করত। জিয়াউর রহমান পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে একটাও গুলি চালায়নি বলে দাবি করেন তিনি।

আওয়ামী লীগ সভাপতি তার বক্তব্যে বিএনপির বিরুদ্ধে ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগ আনেন। তিনি বলেন, চট্টগ্রামে বেড়াতে গিয়েছিলাম। তখন সেখানকার এক নেতা কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র দেখিয়ে বলেছিলেন, এখান থেকে একদিন স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়া হবে। টাইগার পাস দেখিয়ে বলেছিলেন, সেখান থেকে যুদ্ধ শুরু হবে। বঙ্গবন্ধু যখন স্বাধীনতা ঘোষণা করেন, তারপরে চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান তা পাঠ করেন, একে একে আরও কয়েকজন পাঠ করার পর সেনা কর্মকর্তা কাউকে দিয়ে পাঠ করার সিদ্ধান্ত হয়, যাতে মানুষ যুদ্ধাবস্থা বুঝতে পারে।

‘সে সময় জিয়া সোয়াত জাহাজ থেকে অস্ত্র খালাস করতে গেছিল। সেখান থেকে তাকে ধরে এনে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করানো হয়। অথচ তারা নিজেদের স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করে।’

বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে জড়িয়ে জিয়া তাকে দেয়া সম্মান হারিয়েছেন বলে মন্তব্য করেন সরকারপ্রধান।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.

  1. প্রচ্ছদ
  2. ক্যাম্পাস
  3. উন্নয়ন না দেখলে চোখের ডাক্তারের কাছে যান: প্রধানমন্ত্রী

উন্নয়ন না দেখলে চোখের ডাক্তারের কাছে যান: প্রধানমন্ত্রী

দেশের উন্নয়ন যারা দেখতে পান না তাদের চোখ পরীক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, দলের ঘোষণাপত্র ও নির্বাচনি ইশতেহারে দেয়া উন্নয়ন পরিকল্পনা একে একে বাস্তবায়ন হচ্ছে। তাই সব ক্ষেত্রেই উন্নয়ন হয়েছে। যারা এসব উন্নয়ন দেখতে পান না তাদের চোখ পরীক্ষা করা দরকার। এজন্য সরকার আই ইনস্টিটিউটও করেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আজ রবিবার মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২২ উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে দলের প্রধান এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এ সভায় প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন।

সরকারপ্রধান বলেন, আওয়ামী লীগের ঘোষণাপত্রে যে অর্থনৈতিক নীতিমালা প্রণয়ন করেছি, নির্বাচনি ইশতেহারে ঘোষণা দিয়ে যে যে পদক্ষেপ নেয়ার কথা আমরা বলেছি, একে একে তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। সুপরিকল্পিতভাবে আমরা উন্নয়নের কর্মসূচি গ্রহণ করেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকের চোখে কোনো উন্নয়নই নাকি দেশে হয় নাই। এখন বলতে হয় যে আমরা তো একটা আই ইনস্টিটিউট করে দিয়েছি। যারা বক্তৃতা দেয় উন্নয়ন হয় নাই, চোখে দেখে না, আমার মনে হয় তাদের চোখ পরীক্ষা করা দরকার। তাহলে হয়তো দেখতে পাবে যে উন্নয়ন হয়েছে কি না।

‘তাদের চোখে পড়ে না শতভাগ বিদ্যুৎ, এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়েছে, ডিজিটাল বাংলাদেশ তো বিদ্যুৎ ছাড়া চলতে পারে না। আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ তারা ব্যবহার করছে। এটা উন্নতি না?’

তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল, রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র এগুলো চোখে পড়ে না। এগুলো উন্নয়নের লক্ষণ না? দারিদ্র্যের হার হ্রাস পেয়েছে, এই উন্নয়ন তাদের চোখে পড়ে না? খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি, এটা তাদের চোখে উন্নয়ন না?’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি জানি, অনেকে আছে দেশে কোনো উন্নতিই দেখে না। তাদের যদি চোখ খারাপ থাকে তাহলে আমার কিছু বলার নাই। তারা দেখে না, কেন দেখে না সেটা হচ্ছে, দেখার ইচ্ছে নাই, তাই দেখে না। কিন্তু আমাদের উন্নয়নের যে কর্মসূচি তা বাস্তবায়নে সুপরিকল্পিতভাবে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি।’

গ্রামের মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকারের নেয়া পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ৯৬ সালে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প নিয়েছিলাম, খালেদা জিয়া এসে সেটাকে গলা টিপে মেরে ফেলেছিল। যা হোক পরে সেটাকে আমরা ‘আমার বাড়ি আমার খামার’ নাম দিয়ে গ্রামের কোনো মানুষের ঘরে যেন কোনো অভাব না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রেখে প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষকে আর ঋণের বোঝা টানতে হবে না। বরং তারা নিজেরা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে এবং তাদের ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের ব্যবস্থা করে দেব, এ প্রকল্প আমরা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। যার মাধ্যমে দারিদ্র্য হ্রাসে বিরাট সক্ষমতা আমরা অর্জন করছি।’

প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, ১৯৫৮ সালের মার্শাল ল জারির পরেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংকল্প করেছিলেন, এ দেশকে স্বাধীন করতেই হবে। যদিও ভাষার ওপর আঘাত আসার পরপরই এমন চিন্তা শুরু করেছিলেন। মাওলানা ভাসানী আলাদা দল করলে সে দলকে সুসংগঠিত করার জন্য তিনি মন্ত্রিত্ব ছেড়েছিলেন। কারণ, একটা সুসংগঠিত দল হলেই সংগ্রাম করা যায়, স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুতি নেয়া যায়। সে প্রস্তুতিই তিনি নিয়েছিলেন।

১৯৬২ সালে উদ্যোগ নিলেও কার্যকর করতে পারেননি। কিন্তু পরিকল্পনা অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে থাকেন। কিন্তু বিপরীতে বিএনপি কী করেছিল? এমন প্রশ্ন তোলেন তিনি।

বলেন, জিয়াউর রহমান সেক্টর কমান্ডার থাকলেও যুদ্ধক্ষেত্র থেকে দূরে থাকতেন। পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তা তাকে প্রশংসা করে চিঠি লেখে। কেন? যখন এ দেশে পাকিস্তানিরা গণহত্যা চালাচ্ছিল, তখন শত্রুপক্ষের কেউ কেন তাকে চিঠি লিখবে? নিশ্চয় সে তাদের পক্ষে কাজ করত। জিয়াউর রহমান পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে একটাও গুলি চালায়নি বলে দাবি করেন তিনি।

আওয়ামী লীগ সভাপতি তার বক্তব্যে বিএনপির বিরুদ্ধে ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগ আনেন। তিনি বলেন, চট্টগ্রামে বেড়াতে গিয়েছিলাম। তখন সেখানকার এক নেতা কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র দেখিয়ে বলেছিলেন, এখান থেকে একদিন স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়া হবে। টাইগার পাস দেখিয়ে বলেছিলেন, সেখান থেকে যুদ্ধ শুরু হবে। বঙ্গবন্ধু যখন স্বাধীনতা ঘোষণা করেন, তারপরে চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান তা পাঠ করেন, একে একে আরও কয়েকজন পাঠ করার পর সেনা কর্মকর্তা কাউকে দিয়ে পাঠ করার সিদ্ধান্ত হয়, যাতে মানুষ যুদ্ধাবস্থা বুঝতে পারে।

‘সে সময় জিয়া সোয়াত জাহাজ থেকে অস্ত্র খালাস করতে গেছিল। সেখান থেকে তাকে ধরে এনে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করানো হয়। অথচ তারা নিজেদের স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করে।’

বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে জড়িয়ে জিয়া তাকে দেয়া সম্মান হারিয়েছেন বলে মন্তব্য করেন সরকারপ্রধান।

পাঠকের পছন্দ

মন্তব্য করুন