ডেস্ক রিপোর্ট: মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের মালিকানাধীন মহাকাশ গবেষণাপ্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের স্টারশিপ রকেটের সর্বশেষ পরীক্ষা ব্যর্থ হয়েছে। মূলত উৎক্ষেপণের কয়েক মিনিট পরই এই রকেট মাঝ আকাশে বিস্ফোরিত হয় এবং ভেঙে পড়ে।
আর এরই জেরে যুক্তরাষ্ট্রের বিস্তীর্ণ অংশে ব্যাহত হয়েছে ফ্লাইট চলাচলও। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার উৎক্ষেপণের পর ভেঙে পড়ল স্পেসএক্সের রকেট। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এবং সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
সংবাদমাধ্যম বলছে, দক্ষিণ টেক্সাসের উৎক্ষেপণকেন্দ্র থেকে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা ৩৮ মিনিটে ‘স্টারশিপ’ উৎক্ষেপণ করে স্পেসএক্স। কিন্তু উৎক্ষেপণের আট মিনিটের মাথায় তা ভেঙে পড়ে। মাঝ আকাশেই বিস্ফোরণ হয় এবং রকেটের ধ্বংসাবশেষ ও আগুনের গোলা নিচের দিকে নামতে থাকে দ্রুত গতিতে।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সের ভিডিওতে দেখা গেছে, আকাশ জুড়ে আগুনের গোলা ছড়িয়ে পড়েছে। সঙ্গে রয়েছে কালো ধোঁয়া। ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের হাইতির আকাশের সেই ভিডিও প্রকাশ করেছে রয়টার্স। এদিকে স্পেসএক্সের রকেট ভেঙে পড়ায় মেক্সিকো উপসাগরের বিস্তীর্ণ এলাকায় ফ্লাইট পরিষেবাও ব্যাহত হয়েছে।
মূলত পরীক্ষামূলক কৃত্রিম উপগ্রহ নিয়ে মহাকাশে যাচ্ছিল ‘স্টারশিপ’। স্পেসএক্সের কর্মকর্তা ডান হুয়ট বলেন, “উৎক্ষেপণের কিছুক্ষণ পর থেকে স্টারশিপের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তা থেকেই আমরা বুঝতে পেরেছিলাম, কিছু সমস্যা হয়েছে। পরে তা ভেঙে পড়ে।”
রয়টার্স জানিয়েছে, স্পেসএক্সের রকেট বিপর্যয়ের খবর আসতেই মিয়ামি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পরপর বেশ কিছু বিমান নামিয়ে আনা হয়। এছাড়া রকেটের ধ্বংসাবশেষ এড়াতে অন্তত ২০টি ফ্লাইটের যাত্রাপথও পরিবর্তিত করে অন্য বিমানবন্দরে সেগুলো নামিয়ে দেওয়া হয়। এর ফলে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন যাত্রীরাও।
এদিতে রকেট উৎক্ষেপণে ব্যর্থ হলেও অবশ্য হতাশ নন স্পেসএক্সের সিইও ইলন মাস্ক। রকেটের ধ্বংসাবশেষের ছবিসহ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও দিয়েছেন তিনি।
এর আগে ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে স্পেসএক্সের একটি রকেট মাঝ আকাশে ভেঙে পড়েছিল। মহাকাশ থেকে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করার সময়ে রকেটটি ধ্বংস হয়ে যায়। ভারত মহাসাগরের ওপরে সেই ধ্বংসাবশেষ পড়ে। তবে এর আগে স্পেসএক্সের কোনও বিপর্যয়ে ফ্লাইট পরিষেবায় ব্যাঘাত ঘটায়নি।