কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারের হোটেল-মোটেলগুলো পর্যটক বরণ করতে আবার নতুন করে সাজছে। আসন্ন ঈদুল ফিতরের সময় ভ্রমণে আসা পর্যটকদের বরণের জন্য শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে এসব হোটেল-মোটেলে। ঈদের ছুটি পাঁচ দিন হলেও ঈদে টানা সাত দিন কক্সবাজারে পর্যটকরা ভ্রমণে আসবেন বলে আশা করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
ইতিমধ্যে কক্সবাজারের পাঁচ শতাধিক আবাসিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বেশির ভাগের রং লাগানো, ধুয়ে-মুছে পরিচ্ছন্নতার কাজ শেষ।
পবিত্র মাহে রমজানের শুরু থেকেই দীর্ঘতম বেলাভূমির সকাল-বিকালের চিত্রই সম্পূর্ণ ভিন্ন। কোথাও পর্যটক নেই। বালুচরের পর্যটন ছাতাগুলো একদম খালি পড়ে রয়েছে। রমজান উপলক্ষে সাগরপারের শতকরা ৯০ ভাগ হোটেল-মোটেল বন্ধ রয়েছে। এসবের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও পুরো রমজান মাস ছুটি কাটাচ্ছেন। রমজানের পর্যটকশূন্য অবস্থায় প্রতিষ্ঠানগুলোতে নতুন করে সাজগোজের মাধ্যমে পর্যটক বরণের সকল প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্টহাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম সিকদার বলেন, ‘ঈদের ছুটি পাঁচ দিন হলেও টানা সাত দিন কক্সবাজারে পর্যটক আসবেন। অনেক পর্যটক ইতিমধ্যে যোগাযোগ শুরু করেছেন। এবার আবাহাওয়া ভালো থাকলে প্রতিদিন গড়ে ৭০-৮০ হাজার পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণে আসবেন বলে আশা করা হচ্ছে।’
তিনি জানান, ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত হয়েছে ফেডারেশনভুক্ত আবাসিক হোটেল-মোটেল ও গেস্টহাউসে ভাড়ায় ৩০-৪০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে টানা সাত দিনের পর্যটন ব্যবসায় সাড়ে ১২ কোটি টাকার বেশি ব্যবসা হতে পারে।
হোটেল দি কক্স টুডের ব্যবস্থাপক আবু তালেব জানান, অন্যান্য বছরের মতো এবারও ঈদকে সামনে রেখে সকল প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। পর্যটকরা আসলেই স্বচ্ছ পরিচ্ছন্ন হোটেল দেখবে।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার শেহরিন আলম জানান, ঈদের ছুটির পর্যটকের পদভারে আবারও চিরচেনা রূপে ফিরবে সমুদ্রসৈকতসহ পর্যটন এলাকা। এর জন্য সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছেন তারা। নিরাপত্তা জোরদার করে পর্যটকের সেবা দিতে প্রস্তুত তারাও।