ঈদুল ফিতরে বাড়ি ফেরা নিয়ে মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ এবার ঈদের ছুটিতে বড় ধরনের ‘লোকসান’ দেখছেন চাকরিজীবীরা। যদি নির্বাহী আদেশে অন্তত একদিন অফিস বন্ধ রাখা হয়, তবে সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন তারা। আর সেই বিষয়টি সরকারের উচ্চ পর্যায়ে বিবেচনায় রয়েছে বলে জানা গেছে।
ঈদ মানে আনন্দ। কিন্তু ঈদযাত্রাকে কেন্দ্র করে প্রায় প্রতি বছরই নিরানন্দের সুর ধ্বনিত হতে দেখা যায়। এবার যেন সেই সুরটা আরও বড়। ঈদুল ফিতরের তিন দিন ছুটির মধ্যে দুদিনই পড়েছে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার। সেই হিসাবে চাকরিজীবীদের অফিস করতে হবে ২০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। তার মানে বাড়ি যেতে হবে ঈদের আগের দিন।
এতে যানজট হবে তীব্র; বাড়বে ভোগান্তি। সেই সঙ্গে বাড়ি আসা-যাওয়া করতেই ফুরাবে ছুটির সময়টা। সেক্ষেত্রে বাড়তি ছুটি না পেলে মাটি হবে তাদের ঈদ আনন্দ। অতীত অভিজ্ঞতা থেকে অনেকে বলছেন, এবার ঈদের তিন দিনের ছুটিতে পরিবার-পরিজন নিয়ে বাড়িতে গেলে যানজটের কারণে রাস্তাতেই বেশিরভাগ সময় কেটে যাবে। ফলে উৎসবের আমেজ আর পাওয়া যাবে না।
তাই বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে ঈদের ছুটি অন্তত একদিন বাড়ানোর দাবি জানানো হয়েছে। কারণ নির্বাহী আদেশে ২০ এপ্রিল অফিস বন্ধ রাখলে মোট ছুটি পাঁচদিন হবে। কারণ এর আগের দিন ১৯ এপ্রিল শবেকদরের ছুটি আছে। আর রোজা ৩০টি হলে ছুটি হবে ৬ দিন।