The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪

ইয়েস প্রোগ্রামে আমেরিকায় পড়ার সুযোগ

বাংলাদেশে হাইস্কুলে যে শিক্ষার্থীরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে আগ্রহী, তাদের জন্য আবার সুযোগ সামনে এসেছে। আর এই সুযোগ এনে দিয়েছে কেনেডি-লুগার ইয়ুথ এক্সচেঞ্জ অ্যান্ড স্টাডি বা (YES) প্রোগ্রাম। এ প্রোগ্রামের মাধ্যমে আবেদনকারীদের মধ্যে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা আমেরিকান পরিবারের আতিথেয়তায় এক শিক্ষাবর্ষ অবস্থান করবে এবং আমেরিকার হাইস্কুলে লেখাপড়ার সুযোগ পাবে।

মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

২০২৩-২৪ বর্ষের জন্য নির্দিষ্ট সংখ্যক বাংলাদেশি মাধ্যমিক শিক্ষার্থী (১৫-১৭ বছরের মধ্যে) আমেরিকায় থেকে সেখানকার হাই স্কুলে এক বছর অধ্যায়নের সুযোগ পাবে।

যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেট’র অর্থায়নে সেখানকার শিক্ষার্থীদের সাথে সমন্বিতভাবে পড়াশোনা ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের জন্য মেধাভিত্তিক এই বৃত্তি দেয়া হবে। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরাও এ কার্যক্রমে অংশ নেয়ার সুযোগ পাবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০০৪ সাল থেকে ৪৫০ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ইয়েস প্রোগ্রামের মাধ্যমে ‘যুব দূত’ হিসেবে কাজ করেছে। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের জন্য ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, যশোর, কুমিল্লা, মুন্সিগঞ্জ এবং বগুড়ার ২৩ জন শিক্ষার্থী বর্তমানে নিউইয়র্ক, পেনসিলভানিয়া, ম্যাসাচুসেটস, ভার্জিনিয়া, আইডাহোর মতো রাজ্যসহ যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে অবস্থিত বিভিন্ন আমেরিকান উচ্চ বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করছে।

২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত ইয়েস প্রোগ্রামটি প্রয়াত মার্কিন সেনেটর এডওয়ার্ড এম কেনেডি এবং রিচার্ড লুগার তৈরি করেছিলেন। এর উদ্দেশ্য ছিল, এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে সারা বিশ্বের তরুণদের আমেরিকান হোস্ট পরিবারের সাথে বসবাস করানো এবং আমেরিকান সমাজ তথা মূল্যবোধ সম্পর্কে জানার জন্য দেশটির উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ দেওয়া। তারপর থেকে ৩৭টি দেশের ১৩ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী ইয়েস প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করে।

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা ১৪ নভেম্বর বিকেল ৪টা পর্যন্ত আবেদন করতে পারবে। বিস্তারিত তথ্যের জন্য এবং আবেদন করতে ভিজিট করুন www.iearnbd.org.

আবেদনকারীদের যে যে যোগ্যতা বৃত্তি প্রাপ্তিতে সহায়ক হতে পারে—

১.এক শিক্ষাবর্ষের জন্য নিবিড় শিক্ষাকার্যক্রম, সামাজিক সেবাকর্ম এবং শিক্ষাসফরে পুরোপুরি অংশ নেওয়ার আগ্রহ ও সক্ষমতা
২.আমেরিকার হাইস্কুল জীবনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো এবং আমেরিকান কোনো পরিবারের আতিথেয়তায় থাকার প্রস্তুতি
৩.পরিণত, দায়িত্বশীল, স্বনির্ভর, আত্মবিশ্বাসী, মুক্তমনা, সহনশীল, চিন্তাশীল ও অনুসন্ধানী বৈশিষ্ট্য
৪.নিবিড় শিক্ষাকার্যক্রম, সামাজিক সেবাকর্ম ও শিক্ষাসফরে পুরোপুরি অংশ নেওয়ার আগ্রহ ও সক্ষমতা, ক্যাম্পাস জীবনের সঙ্গে সহজভাবে মানিয়ে নেওয়া, জায়গা ভাগাভাগি করে থাকার প্রস্তুতি, নিজ দেশের থেকে ভিন্ন সাংস্কৃতিক ও সামাজিক রীতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার আগ্রহ ও সক্ষমতা
৫.আমেরিকার স্কুল ও জনসমাজে বাংলাদেশি সংস্কৃতিকে যথাযথভাবে উপস্থাপন করার সক্ষমতা
৬.কার্যক্রম শেষে বাংলাদেশে ফিরে আসার প্রতিশ্রুতি।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.

  1. প্রচ্ছদ
  2. স্কলারশিপ
  3. ইয়েস প্রোগ্রামে আমেরিকায় পড়ার সুযোগ

ইয়েস প্রোগ্রামে আমেরিকায় পড়ার সুযোগ

বাংলাদেশে হাইস্কুলে যে শিক্ষার্থীরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে আগ্রহী, তাদের জন্য আবার সুযোগ সামনে এসেছে। আর এই সুযোগ এনে দিয়েছে কেনেডি-লুগার ইয়ুথ এক্সচেঞ্জ অ্যান্ড স্টাডি বা (YES) প্রোগ্রাম। এ প্রোগ্রামের মাধ্যমে আবেদনকারীদের মধ্যে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা আমেরিকান পরিবারের আতিথেয়তায় এক শিক্ষাবর্ষ অবস্থান করবে এবং আমেরিকার হাইস্কুলে লেখাপড়ার সুযোগ পাবে।

মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

২০২৩-২৪ বর্ষের জন্য নির্দিষ্ট সংখ্যক বাংলাদেশি মাধ্যমিক শিক্ষার্থী (১৫-১৭ বছরের মধ্যে) আমেরিকায় থেকে সেখানকার হাই স্কুলে এক বছর অধ্যায়নের সুযোগ পাবে।

যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেট’র অর্থায়নে সেখানকার শিক্ষার্থীদের সাথে সমন্বিতভাবে পড়াশোনা ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের জন্য মেধাভিত্তিক এই বৃত্তি দেয়া হবে। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরাও এ কার্যক্রমে অংশ নেয়ার সুযোগ পাবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০০৪ সাল থেকে ৪৫০ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ইয়েস প্রোগ্রামের মাধ্যমে 'যুব দূত' হিসেবে কাজ করেছে। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের জন্য ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, যশোর, কুমিল্লা, মুন্সিগঞ্জ এবং বগুড়ার ২৩ জন শিক্ষার্থী বর্তমানে নিউইয়র্ক, পেনসিলভানিয়া, ম্যাসাচুসেটস, ভার্জিনিয়া, আইডাহোর মতো রাজ্যসহ যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে অবস্থিত বিভিন্ন আমেরিকান উচ্চ বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করছে।

২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত ইয়েস প্রোগ্রামটি প্রয়াত মার্কিন সেনেটর এডওয়ার্ড এম কেনেডি এবং রিচার্ড লুগার তৈরি করেছিলেন। এর উদ্দেশ্য ছিল, এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে সারা বিশ্বের তরুণদের আমেরিকান হোস্ট পরিবারের সাথে বসবাস করানো এবং আমেরিকান সমাজ তথা মূল্যবোধ সম্পর্কে জানার জন্য দেশটির উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ দেওয়া। তারপর থেকে ৩৭টি দেশের ১৩ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী ইয়েস প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করে।

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা ১৪ নভেম্বর বিকেল ৪টা পর্যন্ত আবেদন করতে পারবে। বিস্তারিত তথ্যের জন্য এবং আবেদন করতে ভিজিট করুন www.iearnbd.org.

আবেদনকারীদের যে যে যোগ্যতা বৃত্তি প্রাপ্তিতে সহায়ক হতে পারে—

১.এক শিক্ষাবর্ষের জন্য নিবিড় শিক্ষাকার্যক্রম, সামাজিক সেবাকর্ম এবং শিক্ষাসফরে পুরোপুরি অংশ নেওয়ার আগ্রহ ও সক্ষমতা
২.আমেরিকার হাইস্কুল জীবনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো এবং আমেরিকান কোনো পরিবারের আতিথেয়তায় থাকার প্রস্তুতি
৩.পরিণত, দায়িত্বশীল, স্বনির্ভর, আত্মবিশ্বাসী, মুক্তমনা, সহনশীল, চিন্তাশীল ও অনুসন্ধানী বৈশিষ্ট্য
৪.নিবিড় শিক্ষাকার্যক্রম, সামাজিক সেবাকর্ম ও শিক্ষাসফরে পুরোপুরি অংশ নেওয়ার আগ্রহ ও সক্ষমতা, ক্যাম্পাস জীবনের সঙ্গে সহজভাবে মানিয়ে নেওয়া, জায়গা ভাগাভাগি করে থাকার প্রস্তুতি, নিজ দেশের থেকে ভিন্ন সাংস্কৃতিক ও সামাজিক রীতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার আগ্রহ ও সক্ষমতা
৫.আমেরিকার স্কুল ও জনসমাজে বাংলাদেশি সংস্কৃতিকে যথাযথভাবে উপস্থাপন করার সক্ষমতা
৬.কার্যক্রম শেষে বাংলাদেশে ফিরে আসার প্রতিশ্রুতি।

পাঠকের পছন্দ

মন্তব্য করুন