The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪

ইরানের ‘সামরিক স্থাপনায়’ পাল্টা হামলা চালাতে চায় ইসরাইল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরানে তেল বা পারমাণবিক সংক্রান্ত স্থাপনার পরিবর্তে সামরিক স্থাপনা লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালাতে চায় ইসরাইল। বাইডেন প্রশাসনকে এমনটাই জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত দুই কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে সোমবার এ খবর দিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট।

মধ্যপ্রাচ্য পূর্ণ মাত্রার যুদ্ধ প্রতিরোধের কথা বলছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ সব পক্ষ। এ কারণে ইসরাইলকে সীমিত আকারে পাল্টা হামলার পরামর্শ দিয়েছে মিত্র দেশগুলো। কিন্তু এ আশঙ্কাও রয়েছে, মিত্রদের পরামর্শ নেতানিয়াহু সরকার শুনবে কি না। কারণ যুদ্ধপরিস্থিতিতে ইসরাইলের অভ্যন্তরে প্রভাব বাড়াতে মরিয়া নেতানিয়াহু।

গত ১ অক্টোবর ইসরাইলের অভ্যন্তরে প্রায় ২০০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ইরান। গত ছয় মাসের মধ্যে ইসরাইলে এটি ইরানের দ্বিতীয় সরাসরি আক্রমণ। এরপর প্রতিশোধমূলক হামলা হিসেবে ইরানকে চরম পরিণতি ভোগের হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে তেল আবিব। ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট জানিয়েছেন, ইরানে হবে প্রাণঘাতি, তীব্র মারাত্মক এবং বিস্ময়কর।

এরইমধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রকাশ্যে বলেছেন যে তিনি পারমাণবিক সম্পর্কিত স্থাপনায় ইসরাইলি হামলাকে সমর্থন করবেন না। মার্কিন নির্বাচনের এক মাসেরও কম সময় আছে, এরমধ্যে ইসরাইলে কোন প্রক্রিয়ায় ইরানকে জবাব দিবে, তা নিয়ে ওয়াশিংটনেরও দুশ্চিন্তা রয়েছে।

গত ৯ অক্টোবর ইরানের বিরুদ্ধে হামলার ব্যাপারে ফোনালাপ করেন জো বাইডেন এবং নেতানিয়াহু। সেখানে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী ইরানে সামরিক অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করার পরিকল্পনার কথা জানান। একজন মার্কিন কর্মকর্তা এবং এর সঙ্গে পরিচিত একজন কর্মকর্তার নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ কথা জানিয়েছেন।

হোয়াইট হাউস তাৎক্ষণিকভাবে ইসরাইলের পরিকল্পনা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। অন্যদিকে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রের মতামত শুনি, তবে আমরা আমাদের জাতীয় স্বার্থের ভিত্তিতে আমাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।’

এদিকে হিজবুল্লাহর ড্রোন এবং অব্যাহত রকেট হামলার মধ্যে ইসরাইলকে অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্রবিরোধী ‘থাড’ এবং ১০০ মার্কিন সেনা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। থাডের পুরো নাম ‘টার্মিনাল হাই–অল্টিচিউড এরিয়া ডিফেন্স’। এতে ব্যবহার করা হয়েছে অত্যাধুনিক রাডার। যা দিয়ে শত্রু পক্ষের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র, রকেট বা যুদ্ধবিমান প্রতিরোধ করা যায়। বলা হয়ে থাকে, এটি যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাগুলোর একটি। মূলত শক্তিশালী রাডার ব্যবস্থার কারণে থাড’ খুবই নির্ভুলভাবে প্রতিপক্ষের হামলা ভণ্ডুল করে দিতে পারে।

এর আগে তেহরানের জ্বালানি তেলের অবকাঠামোতে হামলার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সায় নেই জানিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। অবশ্য সাম্প্রতিক উত্তেজনায় চলতি মাসের শুরুতে ৫ শতাংশ বেড়ে যায় অপরিশোধিত তেলের দাম। যুক্তরাষ্ট্র ইরানের বিরুদ্ধে ইসরাইলের প্রতিক্রিয়া সীমিত করার চেষ্টা করছে বলে মনে হচ্ছে।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.