The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪

ইবি ভিসির কণ্ঠসদৃশ অডিও ফাঁসের বিষয় খতিয়ে দেখার দাবি শিক্ষক সমিতির

মোস্তাক মোর্শেদ, ইবিঃ  ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের কণ্ঠসদৃশ অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তদন্ত সাপেক্ষে খতিয়ে দেখার দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি।

শনিবার (৪ মার্চ) দুপুর ২ টায় অনুষদ ভবনের নিচতলায় শিক্ষক সমিতির অফিসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও প্রগতিশীলতায় বিশ্বাসী সাংবাদিক সংগঠন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংবাদিকদের সাথে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ দাবি তুলে ধরেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার।

এসময় সাংবাদিকদের উদ্দ্যেশ্যে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার।

বক্তব্যে বলা হয়, গত ১৭-০২-২০২৩ তারিখ হতে ধারাবাহিকভাবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্যের কণ্ঠসদৃশ কয়েকটি অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে। এসব অডিওর কয়েকটিতে ইসলামী বিশ্বদ্যিালয়ের শিক্ষক সমাজ ও বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে নেতিবাচক মনোভাবের প্রতিফলন ঘটেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক হিসেবে তাঁর এধরনের বক্তব্য ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারের ফলে শিক্ষক সমাজ তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমুর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে।

এসময় আরো বলা হয়, গত ১৮-০২-২০২৩ তারিখ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রচারিত অডিও-এর বিষয়ে মাননীয় উপাচার্যের অবস্থান জানতে চায়। ফলশ্রুতিতে ১৯-০২-২০২৩ তারিখে মাননীয় উপাচার্য শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে তাঁর অবস্থান ব্যাখ্যা করেন। তিনি অডিওতে প্রচারিত বক্তব্য তাঁর ব্যক্তিগত আলাপচারিতা বলে জানান। শিক্ষক সমিতি এবিষয়ে মাননীয় উপাচার্যকে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস এবং আইনী পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করে। কিন্তু মাননীয় উপাচার্য অদ্যোবধি এধরনের কোনো পদক্ষেপই গ্রহণ করেছেন কিনা আমরা জানিনা। পক্ষান্তরে পরবর্তীতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, শিক্ষার্থীসহ বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে আরো অনেকগুলো নেতিবাচক স্পর্শকাতর অডিও প্রচারিত হয় এবং যার মাধ্যমে সারাদেশের জনমনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে একটি নেতিবাচক ভাবমুর্তি তৈরি হয়েছে।

শিক্ষকদের অবস্থান প্রসংগে বক্তব্যে বলা হয়, কোভিড পরবর্তী একাডেমিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে শিক্ষকরা যখন কর্মব্যস্থ সময় পার করছেন তখন মাননীয় উপাচার্যের কণ্ঠসদৃশ এধরনের অপ্রাসঙ্গিক ব্যক্তিগত আলাপ জনসম্মুখে উঠে আসায় আমরা মর্মবেদনা বোধ করছি। বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি খতিয়ে দেখা উচিত বলে শিক্ষক সমিতি মনে করে।

উক্ত সংবাদ সম্মেলনে রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান রাকিব, সাধারণ সম্পাদক তাসনিমুল হাসান প্রান্ত, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন আদনান, দপ্তর সম্পাদক শাহরিয়ার কবির রিমন, কার্যনির্বাহী সদস্য সামি, যায়িদ, ইমন, মং

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.

  1. প্রচ্ছদ
  2. ক্যাম্পাস
  3. ইবি ভিসির কণ্ঠসদৃশ অডিও ফাঁসের বিষয় খতিয়ে দেখার দাবি শিক্ষক সমিতির

ইবি ভিসির কণ্ঠসদৃশ অডিও ফাঁসের বিষয় খতিয়ে দেখার দাবি শিক্ষক সমিতির

মোস্তাক মোর্শেদ, ইবিঃ  ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের কণ্ঠসদৃশ অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তদন্ত সাপেক্ষে খতিয়ে দেখার দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি।

শনিবার (৪ মার্চ) দুপুর ২ টায় অনুষদ ভবনের নিচতলায় শিক্ষক সমিতির অফিসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও প্রগতিশীলতায় বিশ্বাসী সাংবাদিক সংগঠন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংবাদিকদের সাথে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ দাবি তুলে ধরেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার।

এসময় সাংবাদিকদের উদ্দ্যেশ্যে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার।

বক্তব্যে বলা হয়, গত ১৭-০২-২০২৩ তারিখ হতে ধারাবাহিকভাবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্যের কণ্ঠসদৃশ কয়েকটি অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে। এসব অডিওর কয়েকটিতে ইসলামী বিশ্বদ্যিালয়ের শিক্ষক সমাজ ও বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে নেতিবাচক মনোভাবের প্রতিফলন ঘটেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক হিসেবে তাঁর এধরনের বক্তব্য ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারের ফলে শিক্ষক সমাজ তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমুর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে।

এসময় আরো বলা হয়, গত ১৮-০২-২০২৩ তারিখ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রচারিত অডিও-এর বিষয়ে মাননীয় উপাচার্যের অবস্থান জানতে চায়। ফলশ্রুতিতে ১৯-০২-২০২৩ তারিখে মাননীয় উপাচার্য শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে তাঁর অবস্থান ব্যাখ্যা করেন। তিনি অডিওতে প্রচারিত বক্তব্য তাঁর ব্যক্তিগত আলাপচারিতা বলে জানান। শিক্ষক সমিতি এবিষয়ে মাননীয় উপাচার্যকে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস এবং আইনী পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করে। কিন্তু মাননীয় উপাচার্য অদ্যোবধি এধরনের কোনো পদক্ষেপই গ্রহণ করেছেন কিনা আমরা জানিনা। পক্ষান্তরে পরবর্তীতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, শিক্ষার্থীসহ বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে আরো অনেকগুলো নেতিবাচক স্পর্শকাতর অডিও প্রচারিত হয় এবং যার মাধ্যমে সারাদেশের জনমনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে একটি নেতিবাচক ভাবমুর্তি তৈরি হয়েছে।

শিক্ষকদের অবস্থান প্রসংগে বক্তব্যে বলা হয়, কোভিড পরবর্তী একাডেমিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে শিক্ষকরা যখন কর্মব্যস্থ সময় পার করছেন তখন মাননীয় উপাচার্যের কণ্ঠসদৃশ এধরনের অপ্রাসঙ্গিক ব্যক্তিগত আলাপ জনসম্মুখে উঠে আসায় আমরা মর্মবেদনা বোধ করছি। বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি খতিয়ে দেখা উচিত বলে শিক্ষক সমিতি মনে করে।

উক্ত সংবাদ সম্মেলনে রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান রাকিব, সাধারণ সম্পাদক তাসনিমুল হাসান প্রান্ত, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন আদনান, দপ্তর সম্পাদক শাহরিয়ার কবির রিমন, কার্যনির্বাহী সদস্য সামি, যায়িদ, ইমন, মং

পাঠকের পছন্দ

মন্তব্য করুন