The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
রবিবার, ৭ই জুলাই, ২০২৪

ইবি প্রকৌশল অফিস ভাংচুর, প্রধান ফটকে তালা

ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলিমুজ্জামান টুটুলের সাথে এক ছাত্রীর ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় প্রকৌশল অফিস ভাংচুর ও তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শনিবার (১৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

এতে অবরুদ্ধ হয় প্রধান প্রকৌশলী মুন্সী সহিদ উদ্দীন মো. তারেকসহ অফিসে কার্যরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। এসময় বিভিন্ন বিভাগের প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। পরে প্রকৌশলী টুটলের বিচার দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেয় শিক্ষার্থীরা।

স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা বলেছেন, ‘ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী ও বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলিমুজ্জামান টুটুলের সঙ্গে ছাত্রীর আপত্তিকর ফোনালাপ ফাঁস হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো পবিত্র জায়গায় এরকম নৈতিক বিবর্জিত ব্যক্তি চাকরি করার যোগ্যতা রাখে না। তাই টুটুলকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করতে হবে।’

জানা যায়, গত মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) দিবাগত রাতে ‘ইবির নিউজ’ নামক একটি আইডি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলিমুজ্জামান টুটুলের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় এক ছাত্রীর ৬ মিনিট ২১ সেকেন্ডের একটি আপত্তিকর ফোনালাপ ফাঁস হয়। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য বিব্রতকর ঘটনা।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিচার চেয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রকৌশল ভবন আসে। পরে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে প্রকৌশল অফিস ভাংচুর করে ও অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেয়। একই দাবিতে বেলা সাড়ে ১১টায় শিক্ষার্থীরা ওই কর্মকর্তার বিচার চেয়ে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেয়।

এ বিষয়ে প্রকৌশলী আলিমুজ্জামান টুটুলের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান প্রকৌশলী মুন্সী সহিদ উদ্দীন মো. তারেক বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা প্রকৌশলী টুটুলের অডিও ফাঁসের ঘটনায় আমার রুমে এসে দ্রুত সময়ের মধ্যে তার বিচার দাবি করে। এসময় আমার সাথে কথা বলার এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা আমার অফিস ভাংচুর করে প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে বেরিয়ে যায়। বিষয়টি আমি তাৎক্ষণিক উপাচার্য ও পুলিশকে অবহিত করি।’

প্রধান প্রকৌশলীর অফিস ভাংচুরের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আমি বিষয়টি বুঝতে পারলামনা কেন শিক্ষার্থীরা প্রধান প্রকৌশলীর অফিস ভাংচুর করলো। তবে সব বিষয়ে আমরা তদন্ত করবো।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.