The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪

ইবি ছাত্রী হলে ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন, সহজেই মিলবে স্যানিটারি ন্যাপকিন

ইবি প্রতিনিধি : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ছাত্রীদের আবাসিক তিনটি হলে প্রথমবারের মতো ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। এতে স্যানিটারি ন্যাপকিনের প্রাপ্তি আরো সহজতর হতে যাচ্ছে হলে থাকা ছাত্রীদের জন্য।

সোমবার (২২ মে) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের খালেদা জিয়া হলের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত টিভি কক্ষে ভেন্ডিং মেশিন উদ্বোধন পূর্বক যৌথভাবে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘কান্ডারি ও ক্যাপ’।

এ সময় খালেদা জিয়া হলের প্রভোস্ট ড. ইয়াসমিন আরা সাথীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এলজি ইলেকট্রনিক্স, বাংলাদেশ ব্রাঞ্চের হেড অব কর্পোরেট ব্র্যান্ডিং মাহমুদুল হাসান। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ড. শেলীনা নাসরিন, প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি ড. দেবাশীষ শার্মা, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট ড. মিয়া মো. রাশিদুজ্জামান, ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাম্মী আক্তারসহ প্রমুখ।

প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে প্রধান অতিথি মাহমুদুল হাসান বলেন, গ্রামের অনেক ইয়ুথ আছে যারা অনেক ভালো কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিন্তু ফান্ডিংয়ের অভাবে কাজ করতে পারে না। তাদের কথা চিন্তা করেই আমরা ২০১৭ সালে বাংলাদেশে এলজি অ্যাম্বাসেডর চ্যালেঞ্জ প্রোগ্রামটি শুরু করি। এই প্রোগ্রামটির মাধ্যমে এখানের তিনটি হলে ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। আশা করি এটি আপনাদের অনেক উপকারে আসবে।

অনুষ্ঠানে ক্যানসার অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম ফর উইমেন (ক্যাপ) এর সভাপতি সিয়াম মির্জা বলেন, আমাদের ক্যাম্পাসে ছাত্রী হলে মেয়েদের স্যানিটারি ন্যাপকিন প্রাপ্তি সহজলভ্য ও সার্বক্ষণিক প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে ক্যাপ ২০২০ সালে ভেন্ডিং মেশিন স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করে। দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টা অবশেষে সফলতার মুখ দেখেছে।

এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ড. শেলীনা নাসরিন বলেন, ক্যাপের সদস্যরা কয়েক বছর আগেই হলগুলোতে ভেন্ডিং মেশিন বসানোর উদ্যোগ নিয়েছিল, যা করোনায় দীর্ঘসময় ক্যাম্পাস বন্ধ থাকার কারণে সম্ভব হয়নি। তো এটি এখন আমাদের হাতের নাগালে আসলো। আশাকরি আমাদের ছাত্রীরা যখন এটি ব্যবহার করবে তখন নিজেদের মধ্যে সচেতনতা থাকবে।

সভাপতির বক্তব্যে ইয়াসমিন আরা সাথী বলেন, মেনোপজ প্রকৃতির একটি স্বাভাবিক বিষয়। বাইরের দেশে যখন নারীদের মেনোপজ হয় তখন তারা আপসেট থাকে কিন্তু আমাদের দেশের নারীদের যখন হয় তখন তারা দারুণ খুশি। এই বোধের জায়গা থেকে আমাদের নিজেদের বেরিয়ে আসতে হবে। আশাকরি এলজির এই সহযোগিতা আমাদের মেয়েদের অনেক উপকারে আসবে।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.