The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪

ইবি ছাত্রলীগে পদ পাওয়ার দাবি, ইডিট নাকি সত্যি!!

ইবি প্রতিনিধি : বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গত ৩১ জুলাই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের ২৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। এ কমিটি ঘোষণার প্রায় চার মাস পর একই প্রেস রিলিজ এডিট করে নতুন একটি সহ-সভাপতি পদ সংযুক্ত করা হয়েছে। উক্ত বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের রেহেনা আক্তার ঝুমাকে সহ-সভাপতি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

রবিবার (২৭ নভেম্বর) রাত ১টা ৪৪ মিনিটে ঝুমা নিজেই তার নাম সংযুক্ত প্রেস রিলিজটি ফেসবুকে শেয়ার করেন। ফেসবুক পোস্টে ঝুমা লিখেন, ‘আমাকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত করায় সংগ্রামী সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ভাই ও সাধারণ সম্পাদক সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য দাদার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’

এরপর বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ইবি কমিটিকে ঘিরে এক চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এদিকে কমিটি ঘোষণার দীর্ঘদিন পর এমন সংযুক্তিকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মীদের মনে নানা প্রশ্নের দানা বেঁধেছে। বিষয়টি নিয়ে ক্যাম্পাসে সৃষ্টি হয়েছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা ও বিতর্ক। পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন একাধিক পদধারী ও পদবঞ্চিত নেতাকর্মী।

এ বিষয়ে ইবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, নতুনভাবে ঐ শিক্ষার্থীর পদায়ন বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দের সাথে আমার ব্যক্তিগত ভাবে কোন কথা হয়নি। আমাদের কমিটি কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত এক কেন্দ্রীয় নেতার ফেসবুক কমেন্টের মাধ্যমে যতটুকু জানতে পেরেছি। আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ, আমি এখন বাসায় অবস্থান করছি।

ইবি ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত জানান, গত জুলাই এ ঘোষিত ইবি ছাত্রলীগ কমিটিতে নতুনভাবে রেহেনা আক্তার ঝুমার অন্তর্ভুক্তি বা অনুমোদনের বিষয়ে কেন্দ্র থেকে আমি কোন দিক নির্দেশনা পাইনি। আপাতত এটার কোন কার্যকারিতা নেই। বিষয়টি রীতিমতো বিব্রতকর।

এদিকে কেন্দ্রীয় সমাজসেবা সম্পাদক ও ইবি শাখার তত্ত্বাবধায়ক শেখ স্বাধীন মো. শাহেদ বলেন, আমি দাপ্তরিক সূত্রে কথা বলে জেনেছি তাকে পদায়ন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত যতটুকু খোঁজ পেয়েছি এটা সুপার এডিট করা হয়নি। অর্থাৎ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশনা মেনেই ঐ শিক্ষার্থীকে পদায়ন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক ইন্দ্রনীল দেব শর্মা বলেন, একই প্রেস রিলিজে চার মাস আগে ঘোষিত কমিটি কীভাবে এডিটিং হয় আমার মাথায় আসে না। বিষয়টি আমাকে অবাক করেছে। তিনি ইবি ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেন।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.