ইবি প্রতিনিধিঃ নারী শিক্ষার্থীদের শ্লীলতাহানি, ইন্টারনাল নাম্বার টেম্পারিং, ক্লাসে মেয়েদের জামা কাপড় নিয়ে কথা বলা, মেয়েদের নর্তকী, পতিতা, বাজারের মেয়ে বলে গালিগালাজ করা সহ সমকামিতায় লিপ্ত থাকার অভিযোগে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারি অধ্যাপক হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে একাডেমিক ও পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসানের স্বাক্ষরিত সংশ্লিষ্ট শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল ইসলাম বরাবর দেওয়া এক চিঠিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগে সংঘটিত শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের লিখিত ও মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে গঠিত তদন্ত কমিটির কাজ চলমান রয়েছে। তদন্ত কার্যক্রম শেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত বিভাগের একাডেমিক ও পরীক্ষা সংক্রান্তসহ বিভাগীয় সকল প্রকার কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য আদিষ্ট হয়ে আপনাকে অনুরোধ করা হলো।
প্রসঙ্গত, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে হেনস্থা, ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে মারার ও ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ার হুমকি, ব্যক্তিগত রুমে নিয়ে গিয়ে শিক্ষার্থীদের শারীরিকভাবে নির্যাতন, দাড়ি থাকলে শিবির ট্যাগ দিয়ে হেনস্তা, ইচ্ছাকৃতভাবে ফলাফল খারাপ করে দেওয়া সহ গুরুতর অভিযোগ এনে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাকে চাকরিচ্যুতির দাবিতে বিক্ষোভ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটে অভিযুক্ত শিক্ষক হাফিজের কুশপুত্তলিকা টাঙিয়ে জুতা নিক্ষেপ এবং আগুনে দেয় বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
এর আগে গত ৭ অক্টোবর ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী হেনস্তা, আপত্তিকর মন্তব্য, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনসহ ২৭ দফা অভিযোগ তুলে অপসারণের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক আটকে ঘন্টাব্যাপী বিক্ষোভ করেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। পরে তারা উপাচার্যের কাছে লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ করলে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন ইবি উপাচার্য।