মোস্তাক মোর্শেদ, ইবিঃ ‘যুক্ত হই মুক্ত আনন্দে’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলা বিভাগের প্রথম পুনর্মিলনী উৎসব। আড্ডা, সেলফি আর স্মৃতিমন্থনে নবীন-প্রবীণদের পদচারণায় জমে ওঠে বিভাগের এই প্রথম মিলনমেলা। ৩৩ বছরের পুরনো এই বিভাগের প্রথম পুনর্মিলনীতে অংশ নেয় প্রায় সহস্রাধিক প্রাক্তন-বর্তমান শিক্ষার্থী।
শনিবার (১১ মার্চ) সকাল ১১ টার দিকে দিনটি উপলক্ষে বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং নবীন-প্রবীণ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে রবীন্দ্র-নজরুল অনুষদ ভবনের সামনে থেকে বর্ণাঢ্য এক শোভাযাত্রা শুরু হয়। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে এসে সমবেত হয়। এসময় বেলুন উড়িয়ে পুর্নমিলন অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করা হয়।
এদিন সকাল সকাল বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে শুরু করেন প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। এরপর পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটির সদস্যদের কাছ থেকে টি-শার্ট, ব্যাগ ও উপহারসামগ্রী নেন তাঁরা। এসময় পুরনো সতীর্থদের পেয়ে অনেকেই আবেগাপ্লুত হয়েছেন। কেউ কেউবা জড়িয়ে ধরেছেন একে অপরকে। মেতেছেন আড্ডায়, উচ্ছ্বাসে।
র্যালী শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক গাজী মো: মাহবুব মুর্শিদের সভাপতিত্বে ও অধ্যাপক ড. মোঃ বাকি বিল্লাহর সঞ্চলনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: মাহবুবুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো: আলমগীর হোসেন ভুঁইয়া, সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী এবং অধ্যাপক ড. মো: সরওয়ার মুর্শেদ।
শুরুতেই জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়াত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এসময় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো: সরওয়ার মুর্শেদ।
সাবেক উপাচার্য ও বিশেষ অতিথি অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ বলেন, বিশ্বের যে সর্বশেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয় গুলো রয়েছে সেগুলোকে সর্বশেষ্ঠ বানানোর পিছনে যে সেক্টর গুলো কাজ করে তারমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি সেক্টর হচ্ছে এই অ্যালমনাই অ্যাসোসিয়েশন।আমাদের এই বাংলা বিভাগের যে অ্যালামনাই রয়েছে তারা একসময় ইবিয়ান হিসেবে বা অক্সফোর্ডিয়ান বনাম ইবিয়ান হিসেবে নিজেকে বিবেচিত করবে বলে আমি মনে করি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, আমি প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী কথা বলতে চাই না। বাংলা বিভাগে যারা দেশে বিদেশে কর্মরত আছেন ফেস্টিবলের মাধ্যমে তাদের পরিবারের কাছেই এসেছেন। একে অপরের সাথে বহুবছর পর সাক্ষাৎ করছেন।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে শুধু বাংলাদেশ নয় সারাবিশ্বে অ্যালামনাই রাই উচ্চশিক্ষিত, তারাই প্রধান হাতিয়ার। এছাড়া এই বাংলা ভাষাই একটি সমাজকে বিনির্মাণ করেছে।
অনুষ্ঠানের শেষে সমাপনী বক্তব্যর মাধ্যমে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক গাজী মো: মাহবুব মুর্শিদ সহযোগিতাকারী সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রথম পর্বের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। এছাড়াও মধ্যাহ্নভোজের পর আম্রকাননের বাংলা মঞ্চে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।