The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪

ইবির আইসিটি বিভাগ এবং ব্রাকনেট লিমিটেডের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত

ইবি প্রতিনিধি : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইসিটি) বিভাগ এবং ইন্টারনেট ব্রডব্যান্ড প্রতিষ্ঠান ব্রাকনেট লিমিটেডের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। চুক্তিতে ইন্ডাস্ট্রি এবং একাডেমির মধ্যে রিসার্চ, পাবলিকেশন, দক্ষ জনবল তৈরিসহ আরও বেশ কিছু বিষয়ে সমঝোতা করা হয়।

শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম. এ. ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবনের ১২৫ নম্বর রুমে স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব আইসিটি এই আয়োজন করে।

আইসিটি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ আলমগীর হোসেন, অধ্যাপক ড. মোঃ জাহিদুল হোসেন এবং ব্রাকনেট লিমিটেডের হেড অব অপারেশন মোঃ মোকাররম হোসেন, এসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার আফরিন কাউসার কর্তৃক চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর ও আইসিটি বিভাগের অধ্যাপক ড.পরেশ চন্দ্র বর্ম্মণ, অধ্যাপক ড. মুহাঃ শরিফুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক মোঃ জসিম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ব্রাকনেট লিমিটেডের হেড অব এডমিন এন্ড রেগুলেটরি সিকান্দার কবীর, সিনিয়র ম্যানেজার মোঃ শামীম শাহরিয়ার, আনোয়ার হোসেন এবং অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ সহ প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

স্বাক্ষরিত এই চুক্তির আওতায় থাকবে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, ব্রডব্যান্ড সার্ভিস, সাইবার সিকিউরিটি, আইওটি এবং স্মার্ট সলুশনস, ক্লাউড সলুশনস, ডাটা সেন্টার, কাস্টমার অ্যাডভোকেসি, মার্কেটিং এন্ড সেলস, ফিন্যান্স এন্ড একাউন্টটিং, ইনভেন্টরি ম্যানেজম্যান্ট, হিউম্যান রিসোর্স এন্ড এমপ্লয়ি রিলেশনস, মেশিন লার্নিং এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রভৃতি।

অধ্যাপক ড. জাহিদুল হোসেন পুরো চুক্তির ব্যাপারে বলেন, আমাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ইন্ডাস্ট্রি এবং একাডেমিক কোলাবোরেশান যেটি উন্নত বিশ্বের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে। আমাদের দেশে আগে ছিলো না কিন্তু এখন চালু হয়েছে। সেদিক থেকে আমাদের ইন্ঞ্জিনিয়ারিংয়ের যে সিলেবাস সেখানে ফোর্থ ইয়ারে ইন্ডাস্ট্রি এটাচম্যান্ট নামে একটি সাব্জেক্ট রয়েছে। আগে এই সাব্জেক্টের ক্ষেত্রে কোম্পানির সাথে ইনফরমালি চিঠি লিখে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হতো। আর এখন সেটি ফর্মালি সমঝোতা হচ্ছে।

আইসিটি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন, ইন্ডাস্ট্রি এবং একাডেমিক বিষয়ের মধ্যে যে সম্পর্ক সেটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। আশাকরি এই চুক্তির মাধ্যমে আমাদের শিক্ষার্থীরা প্রয়োগের যে দক্ষতা সেটি ভালোভাবে শিখতে পারবে এবং দেশের ইন্ডাস্ট্রি রেভ্যুলেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখতে পারবেন।

মূলত, এই চুক্তির আওতায় আইসিটি বিভাগের শিক্ষার্থীদের ১৫-২০ জন চতুর্থ বর্ষের প্রথম সেমিস্টারে তিন মাস পর্যন্ত এই কোম্পানিতে গিয়ে প্রেক্টিক্যাল এক্সপেরিয়েন্স নিতে পারবে। এর ফলে কোনো শিক্ষার্থী যখন তার গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে অন্য কোথাও সিভি জমা দিবে তখন এই ইন্টার্নশিপ সিভিতে যুক্ত থাকবে। অর্থাৎ একজন গ্র্যাজুয়েট ছাত্র তার ইন্ডাস্ট্রি এক্সপেরিয়েন্স নিয়েই চাকরিতে জয়েন করবে।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.