নিজস্ব প্রতিবেদক: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) “মানব কল্যাণে রাসূলুল্লাহর (সা.) খুতবার ভূমিকা’ শীর্ষক পিএইচডি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। আল হাদিস এ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের আয়োজনে বুধবার (১৭ মে) বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের থিওলজী ও ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের সেমিনার কক্ষে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিভাগের শিক্ষার্থী ও পিএইচডি গবেষক আব্দুল হাই মো. সাইফুল্লাহ। বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক সভাপতি অধ্যাপক ড. সৈয়দ মাকসুদুর রহমানের তত্ত্বাবধানে তিনি এই গবেষণাকর্ম সম্পাদন করেন।
অধ্যাপক ড. সৈয়দ মাকসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন থিওলজি এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এইচ. এ. এন. এম. এরশাদ উল্লাহ। এ ছাড়া আলোচক হিসেবে ছিলেন অধ্যাপক ড. সেকান্দার আলী ও অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম । অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিভাগের অধ্যাপক ড. আ হ ম নুরুল ইসলাম।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, “মানবজাতির শ্রেষ্ঠ বক্তা ছিলেন নবি-রাসূলগণ। মানুষকে সত্যের জ্ঞানদান, সঠিক পথপ্রদর্শন এবং আল্লাহর বিধানের ভিত্তিতে আদর্শ সমাজ গড়ার জন্যই প্রেরিত হয়েছিলেন তাঁরা। এ কাজ তাঁরা করেছিলেন মানুষকে বোঝাবার মাধ্যমে। তাই তাদের সবাইকে সারাজীবন বক্তৃতা করতে হয়েছে। তাদের বক্তৃতা ছিল সবচেয়ে সুন্দর, চমৎকার ও আকর্ষণীয়। পবিত্র হাদীস ও সিরাত সাহিত্যের মাধ্যমে জানা যায়—পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বক্তা ছিলেন বিশ্বনবি (সা.)। তাঁর বক্তব্য ছিল সকল দিক থেকেই অনন্য, হৃদয়গ্রাহী ও বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত। বিশ্বনবি (সা.) বিভিন্ন বাজারে উপস্থিত জনতার সামনে তাওহীদ, রিসালাত ও আখিরাতের ওপর মাধুর্যপূর্ণ বক্তৃতা দিতেন, যা তাদের আজীবনের লালিত আকীদা-বিশ্বাসের বিরুদ্ধে কুঠারাঘাত হানত। এর পেছনে রাসূলের (সা) অসাধারণ বাকশক্তি ও সাহিত্যপূর্ণ বক্তৃতার বিরাট প্রভাব ছিল।”