The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ২৮শে মার্চ, ২০২৪

ইবিতে ছাত্রলীগের ৩৩ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপিতে যা আছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) কর্তৃপক্ষকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে ক্যাম্পাসের নানা সমস্যা দূরীকরণের লক্ষ্যে ৩৩ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি দিয়েছে শাখা ছাত্রলীগ। মঙ্গলবার (৯ মে) দুপুর ১ টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বরাবর স্মারকলিপির মাধ্যমে এসব দাবি জানান তারা।

শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত ও সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে উল্লেখিত ৩৩ দফা দাবিগুলো হলো: গবেষণা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো, আবাসিক হলের লাইব্রেরিতে মানসম্মত বই ও পড়াশোনার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায়, হলের খাবারের মান বৃদ্ধি, আবাসিক সংকট নিরসন, আবাসিক হল ও ভবনসমূহে দ্রুতগতির ওয়াইফাই ব্যবস্থা নিশ্চিত ও মানসম্মত ওয়াশরুম নিশ্চিতকরণ, মেগা প্রজেক্ট দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন, শ্রেণিকক্ষ, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী সংকট নিরসন, শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচীর সংস্কার ও মেরামত, টিএসসিসিতে নিয়মিত সভা-সেমিনারের ব্যবস্থা, পরিবহন ভোগান্তি নিরসন, চিকিৎসা কেন্দ্রে মানসম্মত ও জরুরী চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের ভোগান্তি নিরসন ও উক্ত অফিস ডিজিটালাইজেশন, ব্যাংকে ই- ব্যাংকিং ব্যবস্থা নিশ্চিত, সার্টিফিকেট উত্তোলনের ভোগান্তি নিরসন ও উক্ত অফিস ডিজিটালাইজেশন, ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নত করণ, প্রভোস্ট ও আবাসিক শিক্ষকদের বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান নিশ্চিত, বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা, নিয়মিত ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক চর্চা নিশ্চিত, মশা নিধনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, পূর্ণাঙ্গ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় করার লক্ষ্যে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, ছাত্রকল্যাণ তহবিল থেকে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা সহায়তা নিশ্চিত, বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিক সংখ্যক ফলজ, বনজ, ঔষধি গাছ লাগানোর পদক্ষেপ গ্রহণ, জাতীয় স্থাপনাগুলোর সঠিক পরিচর্যা নিশ্চিত, টিএসসিসি সার্বক্ষণিক শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্তকরণ, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি সকল শিক্ষার্থীর জন্য সার্বক্ষণিক খোলা রাখার ব্যবস্থা, সকল শিক্ষার্থীর জন্য আধুনিক স্মার্ট কার্ড নিশ্চিতকরণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট নিয়মিত হালনাগাদকরণ, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দায়িত্বের ব্যপারে জবাবদিহিতা নিশ্চিত, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত জার্নাল ওয়েবসাইটে অনলাইনে প্রকাশ, নিরাপদ পানি নিশ্চিত করণ ও উপরোক্ত সকল যৌক্তিক দাবি বাস্তবায়নে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবি জানায় সংগঠনটি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ ও প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মাসহ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীরা।

স্মারক লিপি প্রদানকালে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের যে যৌক্তিক দাবিগুলো রয়েছে সেগুলো আমাদের দলীয় কার্যালয়ে আলাপ আলোচনা করেছি। এখন পর্যন্ত ৩৩ টা অসঙ্গতি এবং সংকট সনাক্ত করেছি। আশাকরি এই দাবিগুলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, সম্মানিত শিক্ষকরা সমাধানের চেষ্টা করবেন। এমন কাজে শাখা ছাত্রলীগ সবসময় পাশে থাকবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘আপনাদের দাবি দাওয়ার সাথে আমরা সম্পূর্ণভাবে একমত। আমরা বিষয় গুলো দেখবো। এগুলো করতে পারলে আমাদেরও স্যাটিসফ্যাকশনের জায়গা তৈরি হবে। এগুলো সবগুলোই বিবেচনায় নেয়া হলো এবং আমরা এগুলা করব। এজন্য আমাদের আপনাদের সকলের সহযোগিতা দরকার।’

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.

  1. প্রচ্ছদ
  2. ক্যাম্পাস
  3. ইবিতে ছাত্রলীগের ৩৩ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপিতে যা আছে

ইবিতে ছাত্রলীগের ৩৩ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপিতে যা আছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) কর্তৃপক্ষকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে ক্যাম্পাসের নানা সমস্যা দূরীকরণের লক্ষ্যে ৩৩ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি দিয়েছে শাখা ছাত্রলীগ। মঙ্গলবার (৯ মে) দুপুর ১ টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বরাবর স্মারকলিপির মাধ্যমে এসব দাবি জানান তারা।

শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত ও সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে উল্লেখিত ৩৩ দফা দাবিগুলো হলো: গবেষণা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো, আবাসিক হলের লাইব্রেরিতে মানসম্মত বই ও পড়াশোনার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায়, হলের খাবারের মান বৃদ্ধি, আবাসিক সংকট নিরসন, আবাসিক হল ও ভবনসমূহে দ্রুতগতির ওয়াইফাই ব্যবস্থা নিশ্চিত ও মানসম্মত ওয়াশরুম নিশ্চিতকরণ, মেগা প্রজেক্ট দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন, শ্রেণিকক্ষ, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী সংকট নিরসন, শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচীর সংস্কার ও মেরামত, টিএসসিসিতে নিয়মিত সভা-সেমিনারের ব্যবস্থা, পরিবহন ভোগান্তি নিরসন, চিকিৎসা কেন্দ্রে মানসম্মত ও জরুরী চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের ভোগান্তি নিরসন ও উক্ত অফিস ডিজিটালাইজেশন, ব্যাংকে ই- ব্যাংকিং ব্যবস্থা নিশ্চিত, সার্টিফিকেট উত্তোলনের ভোগান্তি নিরসন ও উক্ত অফিস ডিজিটালাইজেশন, ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নত করণ, প্রভোস্ট ও আবাসিক শিক্ষকদের বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান নিশ্চিত, বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা, নিয়মিত ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক চর্চা নিশ্চিত, মশা নিধনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, পূর্ণাঙ্গ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় করার লক্ষ্যে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, ছাত্রকল্যাণ তহবিল থেকে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা সহায়তা নিশ্চিত, বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিক সংখ্যক ফলজ, বনজ, ঔষধি গাছ লাগানোর পদক্ষেপ গ্রহণ, জাতীয় স্থাপনাগুলোর সঠিক পরিচর্যা নিশ্চিত, টিএসসিসি সার্বক্ষণিক শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্তকরণ, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি সকল শিক্ষার্থীর জন্য সার্বক্ষণিক খোলা রাখার ব্যবস্থা, সকল শিক্ষার্থীর জন্য আধুনিক স্মার্ট কার্ড নিশ্চিতকরণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট নিয়মিত হালনাগাদকরণ, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দায়িত্বের ব্যপারে জবাবদিহিতা নিশ্চিত, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত জার্নাল ওয়েবসাইটে অনলাইনে প্রকাশ, নিরাপদ পানি নিশ্চিত করণ ও উপরোক্ত সকল যৌক্তিক দাবি বাস্তবায়নে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবি জানায় সংগঠনটি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ ও প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মাসহ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীরা।

স্মারক লিপি প্রদানকালে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের যে যৌক্তিক দাবিগুলো রয়েছে সেগুলো আমাদের দলীয় কার্যালয়ে আলাপ আলোচনা করেছি। এখন পর্যন্ত ৩৩ টা অসঙ্গতি এবং সংকট সনাক্ত করেছি। আশাকরি এই দাবিগুলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, সম্মানিত শিক্ষকরা সমাধানের চেষ্টা করবেন। এমন কাজে শাখা ছাত্রলীগ সবসময় পাশে থাকবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘আপনাদের দাবি দাওয়ার সাথে আমরা সম্পূর্ণভাবে একমত। আমরা বিষয় গুলো দেখবো। এগুলো করতে পারলে আমাদেরও স্যাটিসফ্যাকশনের জায়গা তৈরি হবে। এগুলো সবগুলোই বিবেচনায় নেয়া হলো এবং আমরা এগুলা করব। এজন্য আমাদের আপনাদের সকলের সহযোগিতা দরকার।’

পাঠকের পছন্দ

মন্তব্য করুন