ইবি প্রতিনিধি: নিজস্ব বিভাগের জন্য বরাদ্দকৃত রুমগুলোর স্থায়ী স্থানান্তরের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা। বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুর ১ টার দিকে প্রশাসন ভবনের সামনে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, গত ৮ অক্টোবর কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ এমতাজ হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠিতে রবীন্দ্র-নজরুল ভবনের চারতলায় চারুকলা বিভাগকে ২৫ রুম বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু বরাদ্দকৃত রুম গুলো এখনো স্থায়ীভাবে হস্তান্তর করা হয়নি। বরাদ্দকৃত ২৫ টি রুমের মধ্যে ফোকলোর স্টাডিজ ৪ টি, স্পোর্টস এন্ড সাইন্স ২ টি এবং ডেভলপমেন্ট স্টাডিজ ১৭টি কক্ষ দখল করে তারা তাদের শ্রেণিকার্যক্রম পরিচালনা করছে। তাদের জন্য বরাদ্দকৃত নির্ধারিত থাকলেও তারা নির্দিষ্ট কক্ষে তাদের শ্রেণিকার্যক্রম স্থানান্তর করছেন না। এই বরাদ্দকৃত রুমগুলোর বাস্তবায়নের জন্যেই আন্দোলনে নামেন তারা।
এসময় শিক্ষার্থীদের হাতে ‘রোদে পুড়ে ক্লাস করতে চাই না, বাহিরে ক্লাস করতে চাই না, বরাদ্দকৃত রুম বাস্তবায়ন চাই, এই বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই, ক্লাস পরীক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ চাই, আর নয় প্রতিশ্রুতি এবার চাই বাস্তবায়ন, অবিলম্বে বরাদ্দকৃত রুম বাস্তবায়ন চাই’ ইত্যাদি লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।
মানববন্ধনে বিভাগের শিক্ষার্থীরা বলেন, ২০১৯ সাল থেকে আমাদের বিভাগের যাত্রা শুরু, এখন ৪ টা ব্যাচ চলমান। আরও একটা নবীন ব্যাচ আসতেছে। অথচ আমাদের নিজস্ব কোনো রুম নাই। অন্যান্য বিভাগে গিয়ে ক্লাস করতে হয়। অনেক সময় বাহিরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। তবে বিভাগের নামে রবীন্দ্র-নজরুল ভবনে রুম বরাদ্দ হয়েছে বলে নোটিশ দিয়েছেন। ৭টা রুমে ক্লাস করার কথা থাকলেও এখনও ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি। এমনকি বৃষ্টির সময় টিএসসিসির সামনে ভিজে ওয়ার্কশপ করছি। অবিলম্বে বরাদ্দকৃত রুম ফিরিয়ে দেয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি।এছাড়াও রুমগুলো দ্রুত ফিরিয়ে না দিলে কঠোর আন্দোলনে যাবেন বলেন জানান তারা।
অভিযোগের বিষয়ে বরাদ্দকৃত রুমের অবৈধ দখলে থাকা ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক আতিফা কাফি জানান, আমাদের একটু সময় প্রয়োজন। আমরা প্রশাসনের বাহিরের কেউ না। একাডেমিক মিটিং ডেকে আমরা সিদ্ধান্ত নিব। প্রশাসন যেভাবে বলে সেভাবে সমাধান হবে।
চারুকলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এইচ এম আক্তারুল ইসলাম বলেন, মানববন্ধনের বিষয়ে আমি শুনেছি। আমার শিক্ষার্থীরা কখনও জোর করে দখলে যাবে না। আমাদের বিভাগের নামে রুম বরাদ্দ হলেও আমরা বুঝিয়ে পাইনি। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে বরাদ্দকৃত রুমগুলো ফিরিয়ে দিবে বলে আশাবাদী।
রুম বরাদ্দের বিষয়ে জানতে চাইলে কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন বলেন, সভাপতিদের সাথে আলোচনা করে সম্মতিক্রমে ৪ তলায় রুমগুলো বরাদ্দ দেওয়া হয়। বর্তমান সেখানে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ এবং অন্যান্য বিভাগ রয়েছে। বিভাগগুলো কেন ছেড়ে দিচ্ছে না আমার বোধগম্য নয়। মীমাংসিত রুম চারুকলা বিভাগে ফিরে পাবে সেটাই তো আইনী পন্থা। বর্তমান উপাচার্যের সহযোগিতায় সমাধান হতে পারে