The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শনিবার, ২৮শে ডিসেম্বর, ২০২৪

ইন্টারপোলের তালিকায় ৬৩ বাংলাদেশির নাম, নেই শেখ হাসিনা

ডেস্ক রিপোর্ট: কিছুদিন আগে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোল ওয়েবসাইটে রেড নোটিশ জারি হতে পারে- এমন খবর ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক এই পুলিশি সংস্থার ওয়েবসাইটে শেখ হাসিনার নাম দেখা যায়নি। এমন আলোচনার মধ্যে ভারতকে কূটনৈতিক চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ। শেখ হাসিনাকে ফেরাতে সেই চিঠি এসেছে নয়াদিল্লিতে।

সম্প্রতি ইন্টারপোল সারা বিশ্বের ৬ হাজার ৬৫৮ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করছে। এই সাড়ে ৬ হাজারের মধ্যে ৬৩ জন বাংলাদেশির নাম রয়েছে। দেশে বিদেশে অপরাধের অভিযোগে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের কর্তৃপক্ষ তাদের খুঁজছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, মালদ্বীপ, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ, আফ্রিকা ও বেলজিয়াম উল্লেখযোগ্য।

বিদেশি রাষ্ট্র যেসব বাংলাদেশিকে খুঁজছে ৬৩ জনের মধ্যে চাঁদুপর সদরের রাজু ঢালীকে খুনের অভিযোগের মামলায় খুঁজছে সিঙ্গাপুর। আফ্রিকার দেশ ইসতাওয়ানি খুনের অভিযোগে খুঁজছে ঢাকার মো. মিলন ও লিটন ব্যাপারীকে। খুনের অভিযোগে নোয়াখালীর মিজান মিয়াকে খুঁজছে দক্ষিণ আফ্রিকা। মুদ্রা জালিয়াতির অভিযোগে খুলনার আজিজুর রহমান, অজয়বিশ্বাস ও তরিকুল ইসলাম, নোয়াখালীর সবুজ, গোপালগঞ্জের আব্দুল আলীম শরীফ, নারায়ণগঞ্জের মনির ভুইয়া, চাপাইনবাবগঞ্জের শফিকুলকে খুঁজছে ভারত।

ইউরোপের দেশ বেলজিয়াম খুনের অভিযোগে লক্ষ্মীপুরের খোরশেদ আলমকে খুঁজছে। চোরাচালানির অভিযোগে নাটোরের সিরাজ মোস্তফাকে এবং খুনের অভিযোগে ফেনীর আলা উদ্দিনকে খুঁজছে মালয়েশিয়া। তছরুপের অভিযোগে হানিফকে খুঁজকে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপ রাষ্ট্র মালদ্বীপ। যৌন নির্যাতনসহ বিভিন্ন অভিযোগে জাহিদুল ইসলাম ও অস্ত্র মামলায় ফজলুল আমীন জাভেদকে খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র।

১৯২৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ইন্টারপোল বা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশনের সদস্য বিশ্বের ১৯৬টি দেশ। আন্তর্জাতিক এই সংস্থা বিশ্বকে নিরাপদ রাখতে পুলিশ এবং অপরাধ বিশেষজ্ঞদের একটি নেটওয়ার্কে সংযুক্ত ও সমন্বয় করে। যদি একটি দেশের আসামি সেখানে অপরাধ করার পর অন্য দেশে চলে যায়, তখন সেই আসামিকে ধরতে ইন্টারপোলের সহায়তা লাগে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দেশকে সন্দেহভাজন অপরাধীর যাবতীয় তথ্য দিয়ে রেড নোটিশ জারির জন্য আবেদন করতে হয়।

ইন্টারপোল সদর দপ্তরে আবেদনের পর ওই অভিযুক্তের অপরাধ বিষয়ক যাবতীয় কাগজপত্র, মামলার অনুলিপি ইত্যাদি সংগ্রহ করে ইন্টারপোলের কাছে দিতে হয়। ইন্টারপোল সেই কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.