The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বুধবার, ১৮ই ডিসেম্বর, ২০২৪

ইজতেমা শহীদ হয়ে জান্নাতে যাওয়ার জায়গা না : সারজিস

ডেস্ক রিপোর্ট: তাবলিগের দুই পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েক বছর ধরেই দ্বন্দ্ব চলছে। সেই কারণে ইজতেমাও দুই ভাগে হচ্ছে। তবে সম্প্রতি সময়ে বেড়েছে দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব। এরই জেরে গতকাল রাতে মূল ইজতেমার আগে জোড় ইজতেমার জন্য মাঠ দখলের লড়াইয়ে বাধে সংঘাত। নিহত হয়েছেন তিনজন।

এ ঘটনা ঘটার আগেই দু’পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। এবার তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের রক্তাক্ত সংঘাতের জন্য মাওলানা সাদ কান্ধলভির অনুসারীদের দায়ী করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সারজিস আলম।

দেশকে অস্থিরতার দিকে ঠেলে না দিতে নতুন করে সংঘাতে না জড়াতে তাবলিগের বিবাদমান উভয় পক্ষের প্রতি আহ্বান করেন তিনি। মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় এ আহ্বান জানান সারজিস।

সারজিস বলেন, “আমরা যেন এটা মনে না করি যে এখানে জীবন দিয়ে দেব, শহীদ হয়ে জান্নাতে চলে যাব। আমরা আমাদের ক্ষুদ্র জ্ঞান থেকে এটা মনে করি যে এটা শহীদ হয়ে জান্নাতে যাওয়ার জায়গা হতে পারে না।”

ইজতেমার আগে বিরোধ দমনে দুই পক্ষের সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়ে সারজিস বলেন, মাওলানা সাদের অনুসারীদের সঙ্গে যখন তারা আলোচনায় বসেছিলেন, তখন তারা দুটি দাবি জানায়। তার একটি হলো ভারতের মাওলানা সাদের ভিসা নিশ্চিত করা, দ্বিতীয়টি হলো জোড় ইজতেমার জন্য ২০-২৫ ডিসেম্বর ৫ দিনের জন্য মাঠ তাদের বরাদ্দ দেওয়া।

ইজতেমা এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধইজতেমা এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ
তাদের সঙ্গে আলোচনার পর মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীদের সঙ্গে আলোচনার জন্য মঙ্গলবার মধ্যরাতে কাকরাইল গিয়েছিলেন সারজিসসহ অন্যরা। তখনই খবর পান যে ইজতেমা মাঠে মাওলানা সাদের অনুসারীরা যাচ্ছে এবং তাতে সংঘর্ষ বেধেছে।

সারজিস বলেন, “শুনেই তাদের (সাদের অনুসারী) ফোন করি। তাদের বলি,আলোচনা চলাকালে আপনারা যদি মুভ করেন, তাহলে আমরা আপনাদের সাথে থাকব না। তারা কোনও কিছুর তোয়াক্কা না করে দখলের দিকে গেল। তাতে যে সংঘর্ষ ঘটল, তাতে ৩-৪ টি প্রাণ হারিয়েছি আমরা।”

সাদের অনুসারীদের উদ্দেশে সারজিস বলেন, “আপনারা আমাদের মতের বাইরে গিয়ে, আলোচনায় শ্রদ্ধা বা সম্মানটুকুও করা হয়নি। এক পক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলাকালে সেখানে আক্রমণ ও রক্তাক্ত ঘটনা ঘটেছে।”

জুবায়েরের অনুসারীদেরও শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে সারজিস বলেন, যাতে সংঘর্ষের পুনরাবৃত্তি না হয়।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.