কলেজে পড়তে পড়তেই ইউটিউবে আগ্রহ জাগে। ২০১২ সালের মার্চ মাসে প্রথম ইউটিউব ভিডিও বানিয়েছিলেন ২৩ বছরের যুবক মার্ক। তারপর ইউটিউবের নেশায় পড়াশোনা অসম্পূর্ণ রেখেই কলেজ ছেড়ে দেন। ১০ বছর কেটে গেছে এরপর। ২০২২ সালে এসে মার্ক এখন বিপুল সম্পত্তির মালিক। তাঁর সম্পত্তির মূল্য প্রায় ৪০০ কোটি টাকা। ইউটিউব থেকে বছরে তার আয় গড়ে প্রায় ৩১২ কোটি টাকা।
মার্কের আসল নাম মার্ক এডওয়ার্ড ফিশবাচ। বয়স মাত্র ৩৩ বছর। তাঁর ইউটিউব চ্যানেলের নাম মার্কিপ্লায়ার। সেই চ্যানেলে মূলত তাঁর নিজের অভিনীত কমেডি শো, হরর গেম কিংবা ভিডিও গেমের সমাধানের ভিডিও তৈরি করেন মার্ক। চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা বর্তমানে ৩ কোটি ৩০ লাখ।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সাফল্যের গোপন কথা জানতে চাওয়া হয়েছিল মার্কের কাছে। তিনি বলেছেন, এই সাফল্যকে অস্বীকার করার ক্ষমতা আমার নেই। কিন্তু এত সাফল্য আমি চাইনি। আমি শুধু নিজের পছন্দের কাজ করতে চেয়েছিলাম। আর তা থেকে পাওয়া অর্থে একটু ভালো থাকতে চেয়েছিলাম।
তিনি বলেন, এত উপার্জন করার জন্য অপরাধবোধে ভুগি। আমার মনে হয়, ইউটিউব থেকে টাকা আয়ের যে পদ্ধতি তার ফায়দা নিচ্ছি আমি। এতটা না হলেও হতো।
মার্ক এখন তাঁর মতো ইউটিউবার বন্ধুদের ব্যবসায় বিনিয়োগ করেন। যাতে তাঁরা সুদিন দেখতে পান। ইতোমধ্যে বিভিন্ন ভালো উদ্দেশ্যের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে নাম করেছেন। ফোর্বসের অল্পবয়সী প্রভাবশালীদের তালিকাতেও নাম উঠেছে তাঁর। এ ছাড়া ক্যানসার গবেষণা, রূপান্তরকামীদের সমর্থনে অনেক বার দরাজহস্ত হয়েছেন মার্ক।
ইউটিউব চ্যানেলের পাশাপাশি একটি নিজস্ব পোশাকের ব্র্যান্ডও চালু করেছেন মার্ক। সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, তাঁর যা আছে তা দিয়ে অনেকের পাশে থাকতে চান তিনি। প্রথম জীবনে অত্যন্ত গরিব ছিলেন মার্ক। কষ্ট করেই তাঁকে লেখাপড়া করিয়েছেন বাবা-মা। মার্কের বন্ধুরা বলেন, নিজেদের আর্থিক অবস্থা নিয়ে প্রায়ই ঠাট্টা করতেন তিনি।
২০০৮ সালে বাবাকে হারান। তারপর আমেরিকার ওহায়োর সিনসিনাটির কলেজে পড়াশোনার জন্য ভর্তি হন। গানবাজনারও শখ ছিল। একটি গানের দলে ট্রাম্পেট বাজাতেন মার্ক।
হাওয়াই দ্বীপের হনুলুলুতে থাকতেন মার্কের বাবা-মা। তবে মার্ক জন্ম থেকেই আমেরিকার বাসিন্দা। সেখানেই পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার। এখন লস অ্যাঞ্জেলসের অভিজাত পাড়ার বাসিন্দা। বিশাল বাংলোর মালিক। হলিউডের তারকাদের বাড়ি সাজান যারা, তেমনই এক তারকা অন্দরসজ্জা বিশারদ বাড়ি সাজিয়েছেন মার্কের।
সূত্র- টাইমস নাও।