মডেলিং, হাস্য-রসাত্মক অভিনয় ও গায়ক হিসেবে দর্শকদের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনায় বহুল উচ্চারিত নাম হিরো আলম। তার বিভিন্ন সময়ের বিতর্কিত কিছু গান ও নাচ ব্যাপক হাসির খোরাক জোগাত দর্শকদের। এমনকি তার এমন কর্মকান্ডে পুলিশ ডেকে মুচলেকাও নিয়েছে। এতকিছুর পরেও সংসদ উপ নির্বাচনে অংশ নিয়ে দর্শক ও অনুরাগীদের মাঝে নিজেকে অন্যভাবে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন এই অভিনেতা।
নিজ জেলা বগুড়ার দুটি আসনে নির্বাচন করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন হিরো আলম। ১ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে দুটি আসনে হারলেও একটি আসনে তিনি খুব অল্প ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন। নির্বাচন ও নির্বাচন পরবর্তী হিরো আলম হয়ে উঠেন টক অব দ্য কান্ট্রি।
এমনকি তাকে ভালোবেসে হবিগঞ্জের এক শিক্ষক নোহা গাড়িও উপহার দেন। যেটাকে তিনি এম্বুলেন্সে রুপান্তর করে সাধারণ মানুষের সেবার কাজে লাগাবেন বলে জানিয়েছেন।
বর্তমানে কাজে কোন পরিবর্তন আনছেন কিনা এমন প্রশ্ন করা হলে হিরো আলম বলেন, আগের কিছু গান ও নাচ নিয়ে মানুষ হাসাহাসি বা ট্রল করেছে। এ বিষয়ে আমি অবগত আচি। তবে এখন আমি আগের হিরো আলম নেই। এগুলো ছেড়ে দিয়েছি কিন্তু ছেড়ে দিলেও আগের ভিডিওগুলোই কিছু মানুষ বারবার শেয়ার দিয়ে আমাকে ট্রলের মধ্যে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করে।
তিনি বলেন, নতুন করে কোনো হাস্যকর বা তুচ্ছতাচ্ছিল্য হয় এমন গান, সিনেমা, মডেলিং করব না। এখন থেকে যে কাজই করি না কেন কাজটি মানসম্মত করব। মানুষের যে ভালোবাসা পেয়েছি, সেই ভালোবাসা ধরে রাখার জন্য সব সময় ভালো কাজের মধ্যে থাকব।
কিভাবে বদলে গেলেন? এমন প্রশ্নে হিরো আলম বলেন, আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে থাকেন। আমি ধৈর্য ধরেছি। মানুষ একসময় আমি কোনোকিছু করলেই তুচ্ছতাচ্ছিল্য করত, গালি দিত— এটা আমি বুঝতে পারতাম; তারপরও লেগে থাকতাম। তবে আমি বিশ্বাস করতাম, শত্রুরাও আমাকে বুকে টেনে নেবে। মানুষের ভুল ভাঙবে।