The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
রবিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪

‘আলোচনায় বসলেই ‘প্রত্যয়’ স্কিম থাকবে না’

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদকঃ সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ স্কিমে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি বাতিলের বিষয়ে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুল ইসলাম বলেছেন, শিক্ষকদের জন্য, পরবর্তী শিক্ষার্থীদের জন্য এটা প্রত্যাখান করা হয়েছে। এটা বাতিল করতে হবে, আলোচনায় বসতে হবে। প্রত্যয় স্কিম থাকবে না এটা আমি নিশ্চিত। কারণটা হলো আলোচনায় বসা মানেই উনারা জানেন এর পক্ষে কোনো যুক্তি দেখানো যায় না।

বুধবার সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ স্কিম বাতিলসহ তিন দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দশম দিন কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের টানা আন্দোলনে শিক্ষাঙ্গনে চলমান স্থবিরতার বিষয়ে এই শিক্ষক নেতা আরো বলেন, শিক্ষার্থীরা যে আন্দোলন করছে তা একটি বিচারাধীন বিষয়। আশা করি বিষয়টি সুন্দরভাবে সমাধান হবে। আমাদের যে দায় সেটা হলো আমরা শিক্ষক হয়ে আমাদের ছেলে-মেয়েদের ক্লাসরুমে রাখছি না, তাদের ল্যাবরেটরিতে রাখতে পারছি না। তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কিন্ত তাদেরকে স্পষ্ট করে জানাতে চাই, এই ক্ষতিটা সামান্য ক্ষতি মনে হবে যদি তারা জানে পরবর্তী জেনারেশনের জন্য এটা কতো সর্বনাশা প্রস্তাব  আসছে যেখানে মেধানীরা এই পেশায় আসবে না, তারা প্রস্তুত হবে না। কাজেই আমাদের দাবি মেনে নেয়াটাই এখন যুক্তিযুক্ত।

এ সময় শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. মমিন উদ্দিন বলেন, আজ দশ দিন হয়ে গেলো এখনো এ বিষয়ে কোনো  সমাধান আসেনি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চীন থেকে আসলে হয়তো বিষয়টির সমাধান হতে পারে। আমরা ক্লাসে ফিরতে পারছি না, আমাদের শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হচ্ছে, আমরা চাই না আমাদের শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হোক। আশা করছি সরকার আমাদের দাবি মেনে নেবে, আমরা দ্রুত ক্লাসে ফিরতে পারব।

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. শেখ মাশরিক হাসান বলেন, মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষকতা পেশায় উৎসাহিত করতে শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করার জন্য, তাদের সামাজিক নিরাপত্তা ও সুযোগ সুবিধা ঠিক রাখতে হবে। আমাদের আন্দোলন তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য। শিক্ষকদের যে তিনটি দাবি রয়েছে তা আদায়ের জন্য সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে আমরাও একাত্মতা পোষণ করে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি।

শিক্ষকদের তিনটি দাবি হলো, সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ স্কিমে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে অন্তর্ভুক্তি বাতিল, প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতল স্কেল প্রবর্তন। এছাড়াও পেনশন স্কিম বাতিল ও ইউজিসি প্রণীত অভিন্ন নীতিমালা বাতিলের দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও। ফলে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্থবিরতা কাটছে না।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.