তালেবান ক্ষমতায় আসার পর প্রথমবারের মতো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দেওয়া হচ্ছে। ক্যাম্পাসে ছেলেদের সঙ্গে ক্লাসে ফিরছেন মেয়েরাও।
তালেবান প্রশাসন এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদের জন্য তাদের পরিকল্পনা ঘোষণা করেনি। তারপরও মেয়েদের ক্লাস করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।
তালেবান সরকারের এমন সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘের মহাসচিবের আফগানিস্তান বিষয়ক বিশেষ দূত ডেবোরা লিওনস এক টুইট বার্তায় বলেন, আসুন আমরা সবাই আফগানিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আফগান তরুণ নারী ও পুরুষ শিক্ষার্থীদের ফিরে আসার জন্য সমর্থন করি। ”
শিক্ষা কর্মকর্তারা রয়টার্সকে বলেছেন, ছেলে-মেয়ে আলাদা শিক্ষা গ্রহণের শর্তে তাদের ক্লাসে অংশ নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পৃথক দরজা দিয়ে নারী শিক্ষার্থীদের প্রবেশ করতে দেখা গেছে।
১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তালেবান শাসনামলে নারীদের শিক্ষা কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা হয়েছিল।
গত বছর ১৫ আগস্ট ক্ষমতা গ্রহণের পর তালেবানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, তারা নারীদের সব ধরনের অধিকার নিশ্চিত করবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সে বিষয়ে তাদের পরিকল্পনা অস্পষ্ট। অনেক প্রদেশের উচ্চ বিদ্যালয়-বয়সী মেয়েদের এখনও স্কুলে ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
অন্যদিকে কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আবার চালু হলেও অনেক ক্ষেত্রেই ছাত্রীরা ক্লাসে ফিরতে পারেননি।
নানগারহার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী মেডিক্যাল শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, ক্লাসে নারী-পুরুষ শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে এখনও এটা স্পষ্ট নয় যে পুরুষ প্রভাষকরাই ক্লাস নেবেন নাকি নারীদের জন্য আলাদা নারী শিক্ষক দেওয়া হবে। ছেলেদের সময় শেষ না হওয়া পর্যন্ত মেয়েদের ক্যাম্পাসে হাঁটাহাঁটি না করতে বলা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, নারী শিক্ষার্থীদের বিচ্ছিন্ন রাখার জন্য বিভিন্ন বিকল্প ব্যবস্থা করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে আলাদা ক্লাস এবং অপারেটিং আওয়ার।
নানগারহার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান খলিল আহমেদ বিহসুদওয়াল রয়টার্সকে বলেন, প্রতিষ্ঠানটির পুরুষ ও নারী শিক্ষার্থীরা আলাদা আলাদা ক্লাসে অংশ নেবেন, যা অনেক প্রদেশে ইতোপূর্বে চালু রয়েছে।
বুধবার থেকে শুধু উষ্ণপ্রদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলা হয়েছে। আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে কাবুলসহ শীতল এলাকায় তৃতীয় পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানগুলো পুনরায় চালু হওয়ার কথা রয়েছে।