আফগানিস্তানের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজে সাকিব আল হাসানের খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ আজ নিশ্চিত করেছেন যে সাকিব হয়তো এই সিরিজে অংশ নেবেন না, কারণ সাকিব নিজেই এই সিরিজে খেলতে ইচ্ছুক নন। আগামী ৬, ৯, ও ১১ নভেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতে তিন ম্যাচের এই ওয়ানডে সিরিজ অনুষ্ঠিত হবে। তবে এই সিরিজে সাকিবের খেলা নিয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
ফারুক আহমেদ বলেন, সাকিব দীর্ঘদিন অনুশীলনের বাইরে আছেন এবং মানসিকভাবে প্রস্তুতির জন্য কিছুটা সময় প্রয়োজন তার। সাকিব নিজেই মনে করেন, বর্তমান অবস্থায় খেললে তা দেশের এবং নিজের জন্য ভালো হবে না। বিশ্বকাপের পর থেকে কোনো ওয়ানডে ম্যাচে অংশ নেননি তিনি।
ফারুক আরও জানান, সাকিব আবুধাবিতে একটি টি-টেন টুর্নামেন্টে অংশ নেবেন, যা তাকে কিছুটা প্রস্তুতি নিতে সাহায্য করবে। এরপর তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পরবর্তী সিরিজে অংশ নিতে চাইলে বোর্ড তাকে বিবেচনা করবে। ফারুকের মতে, ১৭ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাকিব ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলার মাধ্যমে নিজের প্রস্তুতি ধরে রাখতে সক্ষম।
প্রথমে অবশ্য বুধবারের (৩০ অক্টোবরের) বোর্ড সভায় সাকিবের খেলা নিয়ে কিছু আশাবাদ প্রকাশ করেছিলেন ফারুক আহমেদ, তবে আজকের সিদ্ধান্তে এই সিরিজে সাকিবের অংশগ্রহণের সম্ভাবনা একেবারে নাকচ হয়ে গেছে।
সাকিব অবশ্য তার অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত বিসিবির ওপর ছেড়ে দিয়েছিলেন, যেখানে তিনি ক্রিকবাজকে বলেছিলেন, ‘আমি কীভাবে বলব, এটা তো বিসিবির বলা উচিত।’
এদিকে, চলতি দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের আগে সাকিব দেশে ফেরার পরিকল্পনা করলেও নিরাপত্তাজনিত কারণে তা সম্ভব হয়নি। দেশের মাটিতে টেস্ট ক্রিকেটে বিদায় জানানোর ইচ্ছে থাকলেও, এটি বাস্তবায়িত হয়নি। ফারুক আহমেদ এ প্রসঙ্গে জানান যে এ বিষয়ে বিসিবির কোনো দায় নেই; বাহ্যিক কারণে সাকিবের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়ায় তিনি ফিরতে পারেননি।
উল্লেখ্য, সাকিব আগেই জানিয়েছেন, ২০২৫ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলে ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসর নিতে চান। এখন দেখার বিষয় তার সেই স্বপ্ন পূরণ হয় কি না।