এমপিওভুক্ত হতে না পারা স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানের আপিল নিষ্পত্তির পর নতুন এমপিওভুক্ত হওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিও কোড দেওয়া হতে পারে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে নির্দেশনা না আসায় এমপিও কোড নিয়ে কাজ করতে পারছে না মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
জানা গেছে, নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির ঘোষণা দেওয়া হয় শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে। এরপর যতগুলো প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়েছে তার একটি তালিকা সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরে পাঠানো হয়। এরপর এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে এমপিও কোড দিতে নির্দেশনা দেয় মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পাওয়ার পর এমপিও কোড প্রস্তুত করে মাউশির ইএমআইএস সেল। এমপিও কোড তৈরির পর মাউশির প্রশাসন শাখা থেকে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়।
মাউশি সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নতুন এমপিওভুক্তির জন্য দুই হাজার ৭০০ এর অধিক প্রতিষ্ঠানের তালিকা তাদের কাছে রয়েছে। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে পরবর্তী করণীয় সংক্রান্ত কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। নির্দেশনা না আসায় এমপিও কোড দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাউশির এক কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকে মনে হচ্ছে যে সকল প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হতে না পেরে আপিল করেছেন, সেই প্রতিষ্ঠানগুলোর আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মন্ত্রণালয় এমপিও কোডের বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দেবে না। তাই আমার মনে হচ্ছে এমপিও আপিল নিষ্পত্তির পর এমপিও কোড দেওয়া হতে পারে।
এদিকে এমপিও কোড পেলে নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা বেতন ভাতার আবেদন করতে পারবেন। তবে এমপিও কোড না পাওয়ায় এমপিওভুক্ত হওয়া স্কুল-কলেজের শিক্ষকরা বেতনের জন্য আবেদন করতে পারছেন না। ফলে দ্রুত সময়ের মধ্যে তারা এমপিও কোড দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে মাউশি উপপরিচালক (সাধারণ প্রশাসন) বিপুল চন্দ্র বিশ্বাস দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এমপিও কোড তৈরির কাজ করে আমাদের ইএমআইএস সেল। তবে মন্ত্রণালয় থেকে কোনো কাগজপত্র (নির্দেশনা) না আসায় তারা পরবর্তী কাজ শেষ করতে পারছেন না।
প্রসঙ্গত, গত ৬ জুলাই ২ হাজার ৭১৬টি ননএমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত ঘোষণা করে সরকার। এ তালিকায় ২ হাজার ৫১টি স্কুল-কলেজ এবং ৬৬৫টি মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।