The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
মঙ্গলবার, ১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪

আন্দোলনের মুখে ভিকারুননিসার অধ্যক্ষের পদত্যাগ

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কেকা রায়চৌধুরীসহ দুই শিক্ষক পদত্যাগ করেছেন।

রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে তারা পদত্যাগপত্রে সই করেন।

পদত্যাগ করা অন্যজন হলেন সিনিয়র শিক্ষক ফারহানা খানম। ভিকারুননিসা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তাদের পদত্যাগপত্রে সই করার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

এর আগে সকালে কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের হুমকি এবং দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কেকা রায়চৌধুরীর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা। একইসঙ্গে স্কুলের পদার্থবিজ্ঞানের সিনিয়র শিক্ষক ফারহানা খানমসহ গভর্নিং বডির পদত্যাগের একদফা দাবি জানিয়েছেন তারা।

জানতে চাইলে অধ্যক্ষ কেকা রায়চৌধুরী বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সম্মান রেখে পদত্যাগ করছি। ফারহানা খানম বলেন, আমাকে জোর করে পদত্যাগ করতে বাধ্য করানো হয়েছে। আমি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করিনি।

তাদের পদত্যাগের দাবিতে সকাল ১০টায় রাজধানীর বেইলি রোডে স্কুলের মূল ক্যাম্পাসের সামনে বিক্ষোভ করেছেন কয়েকশ শিক্ষার্থী। এ সময় এক দফা এক দাবি এক, এক ঘণ্টায় পদত্যাগ; মানি না মানব না, দুর্নীতি সইব না— শিক্ষার্থীরা এসব স্লোগান দেন।

পরে অধ্যক্ষ নিজে এসে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। হ্যান্ডমাইকে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, তোমরা যে দাবিতে আন্দোলন করছ, এসব অভিযোগের কোনোটাই সত্য নয়।‌ যদি প্রমাণ করতে পারো তাহলে আমি এ পদ থেকে সরে যাব। আর তোমরা যদি আমাকে একেবারেই না চাও তাহলে আমি সর্বোচ্চটা বিসর্জন দিতে রাজি আছি।

তিনি বলেন,‌ আমি আসার পরে এখানে কোনো দুর্নীতি হয়নি, কোনো ভর্তিবাণিজ্য হয়নি। সবকিছু বন্ধ করে দিয়েছি। ‌

অধ্যক্ষের বক্তব্যের মধ্যেই শিক্ষার্থীরা ভুয়া ভুয়া বলে স্লোগান দেন এবং আগামী দুই ঘণ্টার মধ্যে তাকে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, অধ্যক্ষ কেকা চৌধুরী ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ড. ফারহানা খানম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণ করা শিক্ষার্থীদের হামলার সময় নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আশ্রয় দিতে সাহায্য করেননি। উল্টো তাদের টিসি দেওয়া এবং হেনস্তা করার হুমকি দেন। তাদের বিরুদ্ধে কলেজে অভ্যন্তরীণ দুর্নীতিতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত থাকার অভিযোগও রয়েছে। এ জন্য তাদের চাকরিচ্যুত করার দাবি জানিয়েছেন তারা।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.