আজ ২২শে শ্রাবণ। আজ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮২তম প্রয়াণ দিবস। বিশ্বকবির প্রয়াণ দিবস উপলক্ষ্যে বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বেতার এবং বেসরকারি টেলিভিশনগুলো এ উপলক্ষ্যে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা ও নাটক প্রচার করবে।
রবীন্দ্র জীবনীকার প্রভাত কুমার মুখোপাধ্যায় ‘রবীন্দ্র জীবন কথা’য় বিশ্বকবির মৃত্যু নিয়ে লিখেছেন, শান্তি নিকেতনে থাকতেই কবি অসুস্থ হয়ে পড়েন। দেহ আর চলছিল না, চিকিৎসার ও সেবারও বিন্দুমাত্র ত্রুটি নেই। কিন্তু কবির অবস্থার উন্নতি হচ্ছিলো না। অবশেষে ডাক্তাররা পরামর্শ করে ঠিক করলেন, অপারেশন ছাড়া উপায় নেই। ৯ শ্রাবণ (২৫ জুলাই) শান্তি নিকেতন থেকে কবিকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হলো। শান্তি নিকেতনের সঙ্গে অনেক বছরের স্মৃতি জড়িত কবি কী বুঝতে পেরেছিলেন এ তার শেষ যাত্রা? যাবার সময় চোখে রুমাল দিচ্ছেন দেখা গেছে।
৩০ জুলাই জোড়াসাঁকোর বাড়িতে কবির শরীরে অস্ত্রোপচার হলো। রবীন্দ্র জীবনী থেকে জানা যায়, মৃত্যুর মাত্র সাতদিন আগে পর্যন্তও কবি সৃষ্টিশীল ছিলেন। জোড়াসাঁকোতে রোগশয্যায় শুয়ে শুয়ে তিনি বলতেন তখন রানি চন্দ লিখে রাখতেন।
চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচার করলে তা ব্যর্থ হলো। অবস্থা দ্রুত মন্দের দিকে যেতে লাগল। তিনি জ্ঞান হারালেন।বাংলা ১৩৪৮ সালের ২২ শে শ্রাবণ, জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ির ঘড়িতে তখন দুপুর ১২টা বেজে ১০ মিনিট কবি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।