The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪

অসহায় মানুষের পাশে জবির “এক টুকরো হাসিমুখ” সংগঠন

জবি প্রতিনিধি: ‘মানুষ মানুষের জন্য’ প্রচলিত এই কথার ভিত্তিতে পৃথিবী সৃষ্টির শুরু থেকেই সময়ে -অসময়ে মানুষই মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। তারা যুগে যুগে একটি বার্তাই দিয়েছে যে মানবতাই শক্তি, মানবতাই মুক্তি।

এখনও যুদ্ধ নয়, মানবতা দিয়েই পৃথিবী গড়তে চায় অনেক মানুষ। মানুষ জানে শুধু নিজের জন্য বেঁচে থাকাই বেঁচে থাকা নয়, অসহায় মানুষের চোখের পানি মুছে দিয়ে বেঁচে থাকার নামই জীবন।

ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, যারা মানুষের পাশে আস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে, তারাই মানবতার কারিগর। সমাজের ঝামেলাহীন মানুষের সাথে এখনো কিছু মানুষ আছে যারা জীবন বলতে বোঝে শুধু নিজের জন্য বেঁচে থাকা নয় আর্তমানবতার সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দেওয়া। তাঁরা দাঁড়িয়ে আছে মানবতার প্রশ্নে। তাঁরা নিজেদের অবস্থান থেকে সাধ্যমত এগিয়ে আসার চেষ্টা করছে।

এমনই একটি প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। নাম তার ‘এক টুকরো হাসিমুখ’।

সংগঠনটির উদ্দেশ্য হলো অসহায় মানুষের পাশে দাড়ানো। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে তারা মানুষকে সাহায্য করে থাকে। শীতার্ত মানুষদের মাঝে কম্বল বিতরণ করে। রমজান মাসে ইফতার বিতরণ ও সেহরির আয়োজন করে। অসহায় মানুষকে স্বাবলম্বী করে এই সংগঠন ইতিমধ্যে সাড়া ফেলেছে। সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য মানুষকে স্বাবলম্বী করে তোলা।

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা আকরাম শেখ বলেন, যখন বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে প্রথম পা রাখি তখন মনে হয়েছিল জীবন পরিবর্তন করব। রাস্তা দিয়ে যেতাম মানুষের হাহাকার দেখতাম। দেখতাম তাদের ক্ষুধার তাড়না। মনের মধ্য খারাপ লাগত। ঠিক এমন তাড়না আর খারাপ লাগা থেকে চিন্তা করি এসকল মানুষের জন্য কিছু করার। সেই থেকে শুরু করি “এক টুকরো হাসিমুখ ” সংগঠনের কার্যক্রম।

তিনি আরও বলেন, এবার রমজান প্রায় চলে এসেছে। ঠিক এবারও “এক টুকরো হাসিমুখ ” সংগঠনের সদস্যরা অধীর আগ্রহ বসে আছে তাদের কাজের জন্য। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন কেবল তাদের ডিগ্রি নয়, মানবিকতার শিক্ষা দেবে।
তাদের মানবিক করে গড়ে তুলবে, এই আশা নিয়েই এগিয়ে যাব অনেক দূর।

সংগঠনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা জামিল বলেন, অসহায় মানুষের অনাহার আর ক্ষুধার যন্ত্রণা দেখে নিজেকে বড় অসহায় মনে হয়েছে। তখন ভেতর থেকে মনে এসেছে বিশ্ববিদ্যালয় তো কেবল কিছু নোট আর বই পড়ে ডিগ্রি নেওয়ার জায়গা নয়। তখন ভেবেছি যদি এদের জন্য কিছু করতে পারতাম। সেই ভাবনা আর আগ্রহ থেকেই এই কাজ করা। আশা করি এই সংগঠন মানুষের মুখে হাসি ফোটাবে।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.