সাকিবুল ইসলাম, জবি প্রতিনিধি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের(জবি) কর্মচারীরা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কর্তৃক প্রনীত অভিন্ন নীতিমালা বাতিল, নবম পে-স্কেল প্রদান এবং পে-স্কেল ঘোষণার পূর্ব পর্যন্ত অর্ধ শতাংশ মহার্ঘ ভাতার দাবীতে মানববন্ধন করেছে।
সোমবার (১৬ই নভেম্বর) সকাল ১১ টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সহ দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানব বন্ধনে বক্তারা বলেন, ২২ মে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন এর সঙ্গে বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশনের সঙ্গে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদোন্নয়ন সংক্রান্ত অভিন্ন নীতিমালা নিয়ে মতামত প্রদানের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন আমাদের মতামতকে উপেক্ষা করে অভিন্ন নীতিমালা বাস্তবায়নের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
মঞ্জুরী কমিশন যে ভাবে নীতিমালা প্রনয়ন করছেন সেই নীতিমালা যদি প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাস্তবায়ন হয়, তাহলে সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারীদের ভীষন ক্ষতি হবে। ৮ম জাতীয় পে-স্কেল প্রদানের প্রায় ৮ (আট) বছর অতিবাহিত হলেও সরকার থেকে ৯ম পে-স্কেল ঘোষনায় কোন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।
এতে করে অন্তত বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী কর্মচারীরা দীর্ঘদিন যাবৎ বেতন বৈষম্যের শিকার হচ্ছে।
উক্ত মানববন্ধনে সহায়ক কর্মচারী সমিতির সভাপতি মোঃ আবু সাঈদ বলেন, ‘গত ৫ মে আমাদের প্রতিনিধির সাথে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় কথা হয়েছিল যদি অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়ন করা হয় তবে আমাদের প্রতিনিধিদের মতামত নেওয়া হবে এবং খসরা নীতিমালা দেখানো হবে।
কিন্তু আমাদের প্রতিনিধিদের কোন মতামত না নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়ন করছে, আমরা এর তীব্র বিরোধিতা করি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী আমাদের বেতনের উন্নতির ধাপ ছিল পাঁচটি। কিন্তু নতুন এই অভিন্ন নীতিমালায় তা কমিয়ে দুইটি করা হয়েছে। আমরা চাই যদি নতুন করে অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়ন করা হয় তবে তা যেন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় আইনের সাথে সামঞ্জস্য করে করা হয়।
কর্মচারী সমিতির সভাপতি এরশাদ মিয়া বলেন, নিয়ম অনুযায়ী পাঁচ বছর পর পর নতুন বেতন স্কেল ঘোষণা করার কথা। কিন্তু সরকার গত আট বছরেও নতুন কোন বেতন স্কেল ঘোষণা করেনি। এদিকে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্ব গতিতে আমাদের জীবন যাপন কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। তাই আমরা চাই যতদিন নবম বেতন স্কেল ঘোষণা করা না হবে, তত দিন আমাদের যেন ৫০% শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হয়।