The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪

অরিত্রীর আত্মহত্যা: ভিকারুননিসার ২ শিক্ষকের বিরুদ্ধে রায় আজ

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় প্রতিষ্ঠানটির দুই শিক্ষক নাজনীন ফেরদৌস ও জিনাত আক্তারের বিরুদ্ধে রায়ের জন্য আজ দিন ধার্য রয়েছে।

রোববার ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ-১২-এর বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালত এ রায় ঘোষণা করবেন।

গত ২৭ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের তারিখ ২১ জানুয়ারি ধার্য করেন। ওই দিন রায় প্রস্তুত না হওয়ায় তা পিছিয়ে ৮ ফেব্রুয়ারি ঠিক করেন আদালত। কিন্তু সেদিনও রায় প্রস্তুত না হওয়ায় ৩ মার্চ ধার্য করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর পরীক্ষা চলাকালে অরিত্রীর কাছে মোবাইল ফোন পান শিক্ষক। মোবাইল ফোনে নকল করেছে, এমন অভিযোগে অরিত্রীর মা-বাবাকে স্কুলে যেতে বলা হয়। দিলীপ অধিকারী তার স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে স্কুলে গেলে ভাইস প্রিন্সিপাল তাদের অপমান করে কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। অধ্যক্ষের কক্ষে গেলে তিনিও একই রকম আচরণ করেন। এ সময় অরিত্রী দ্রুত অধ্যক্ষের কক্ষ থেকে বের হয়ে যায়। পরে শান্তিনগরে বাসায় গিয়ে অরিত্রী তার কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না দিয়ে ফাঁস দেয়।

এ ঘটনায় ৪ ডিসেম্বর পল্টন থানায় তার বাবা দিলীপ অধিকারী বাদী হয়ে মামলা করেন।

ঘটনার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ভিকারুননিসা কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটি আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষসহ তিন শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়।

২০১৯ সালের ২০ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক কাজী কামরুল ইসলাম ওই দুই আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় শ্রেণিশিক্ষক হাসনা হেনাকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করেন তিনি।

২০১৯ সালের ১০ জুলাই ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলম প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও শাখাপ্রধান জিনাত আক্তার বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। দুই আসামির বিরুদ্ধে যে ধারায় চার্জ গঠন করা হয়েছে, ওই ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হলে আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা মৃতুদণ্ড অথবা অনধিক ১০ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে। মলাটিতে ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ করেছেন আদালত।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.