মোঃ সাইদুজ্জামান শুভ, সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলায় চলছে একাধিক অবৈধ ইটভাটা। পুড়ছে কাঠ। বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ ও ফসলের মাঠ। ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ আইনের তোয়াক্কা না করে ড্রাম চিমনি ব্যবহার করে কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানো সম্পূর্ণ নিষেধ। তা সত্ত্বেও বছরের পর বছর ওই সব ভাটা বহাল তবিয়তে ইট তৈরির কাজ অব্যাহত রেখেছে। ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রশাসন সাময়িক জরিমানা করলে বা চিমনি ভেঙে দিলেও কয়েক দিনের মধ্যেই আবারও ইটভাটা প্রস্তুত হয়ে যায়।
সরেজমিনে সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার কুমিরা ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, সড়কের পাশে রাস্তার কোলঘেঁষে সরকারি খাস জায়গায় ইটের ভাটার মাটি রেখে চলছে (এম,বি ইটভাটা), ওই এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, ডিসেম্বরের শুরুতে ভাটার প্রস্তুতি শুরু হয়। এরপর টানা মার্চ মাস পর্যন্ত এ ভাটায় পরিবেশ নষ্ট করে ইট তৈরি হয়। এবং ইটভাটা টি সম্পূর্ণ গ্রামের মধ্যে হাওয়ায় পরিবেশের প্রচুর ক্ষতি হচ্ছে। এবং এলাকার বড় থেকে ছোট বাচ্চা পর্যন্ত এই ইটভাটার ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে ভাটার মালিক মোঃ খায়রুল ইসলাম এর মুঠো ফোনে কল করলে তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে ভাটার ম্যানেজার, মোঃ গিয়াশ উদ্দীন বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তারা ভাটার অনুমোদন নিয়েছেন।
তবে পরিবেশ অধিদফতরের কোন বৈধ ছাড়পত্র দেখাতে পারেননি । নেই লাইসেন্স, নেই কোন কিছু নবায়ন। বি,এস,টি আয়ের স্টান্ডার টেস্টিং কোন রকমে চলছে। ইট পোড়ানোর লাইসেন্স নবায়ন করা নাই। কিন্তু প্রতি বছর ভাটা শুরু আগে অনেক কিছু ‘ম্যানেজ’ করতে হয় তাদের। বেশি চাপাচাপি হলে দর দামও বেশি হয়।
খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থালে যান তালা উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুহুল কুদ্দুস, তিনি ওই অবৈধ ইটভাটা সকল প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র নিয়ে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে ইটভাটার ম্যানেজার কে তার অফিসে আসতে বলেন। কাগজপত্র সবকিছু যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি আশ্বাস প্রদান করেন।