The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪

জিদানের কাছে ক্ষমা চাইলেন ফ্রান্স ফুটবলের সভাপতি

ফ্রান্সের কিংবদন্তি ফুটবলার জিনেদিন জিদানকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে ব্যাপক তোপের মুখে পড়েছেন ফ্রান্স ফুটবল ফেডারেশনের (এফএফএফ) সভাপতি নোয়েল লে গ্রেত। খেলোয়াড়, দেশটির ক্রীড়ামন্ত্রী, রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে অনেকেই সমালোচনা করতে থাকেন তার। অবশেষে পরিস্থিতি অনুধাবন করে দ্রুতই ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন এফএফএফ সভাপতি।

বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ক্ষমা প্রার্থনা করে লে গ্রেত জানিয়েছেন, তার বক্তব্যে জিদানকে নিয়ে ভাবনার সঠিক প্রতিফলন ঘটেনি। সেই সঙ্গে নিজের মন্তব্যকে ‘আনাড়ি’ আখ্যা দিয়ে বিষয়টিকে ‘ভুল বোঝাবুঝি’ বলে দাবি করেন।

তিনি বলেন, ‘ওই মন্তব্যগুলোর জন্য আমি ক্ষমা প্রার্থনা করছি। সেখানে যথাযথভাবে আমার ভাবনা প্রতিফলিত হয়নি, কিংবা একজন খেলোয়াড় এবং কোচ হিসেবে তিনি কেমন ছিলেন, তা নিয়ে আমার মূল্যায়নও উঠে আসেনি।

ফ্রান্সের কোচ হওয়ার আগ্রহ জানিয়েছিলেন জিদান। আর একারনেই রিয়ালের দায়িত্ব ছাড়ার পর কোচ হননি কোনো দলের। শেষ পর্যন্ত অবশ্য দিদিয়ের দেশমকেই ২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত রেখে দিয়েছে ফ্রান্স। এখন জিদানের গন্তব্য কোথায়? এ নিয়ে আরএমসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জিদানকে রীতিমতো অসম্মানই করেছিলেন ফ্রান্স ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি নোয়েল লা গ্রায়েত, ‘জিদান আমাকে ফোন করলে কী হতো? কিছুই হতো না। আমি ওর ফোনই তুলতাম না। জিদান কি এখন ব্রাজিলের দায়িত্ব নেবে? আমার কিছু যায় আসে না।

এমন অনাকাঙ্খিত মন্তব্যের পর সমালোচনার ঝড় ওঠে চারিদিকে। ফ্রান্সের ক্রীড়ামন্ত্রী এমিলি ওদিয়া-কাস্তেরা থেকে শুরু করে কিলিয়ান এমবাপ্পে পর্যন্ত একহাত নেন গ্রায়েতকে। চাপে পড়ে গতকাল জিদানের কাছে ক্ষমা চাইলেন গ্রায়েত।

গ্রায়েত ক্ষমা চাওয়ার আগে এবারের বিশ্বকাপে আট গোল করা তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে একহাত নিয়েছিলেন তাঁকে, ‘জিদানই ফ্রান্স। এমন কিংবদন্তিকে আমরা এভাবে অসম্মান করতে পারি না।’

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.

  1. প্রচ্ছদ
  2. খেলাধুলা
  3. জিদানের কাছে ক্ষমা চাইলেন ফ্রান্স ফুটবলের সভাপতি

জিদানের কাছে ক্ষমা চাইলেন ফ্রান্স ফুটবলের সভাপতি

ফ্রান্সের কিংবদন্তি ফুটবলার জিনেদিন জিদানকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে ব্যাপক তোপের মুখে পড়েছেন ফ্রান্স ফুটবল ফেডারেশনের (এফএফএফ) সভাপতি নোয়েল লে গ্রেত। খেলোয়াড়, দেশটির ক্রীড়ামন্ত্রী, রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে অনেকেই সমালোচনা করতে থাকেন তার। অবশেষে পরিস্থিতি অনুধাবন করে দ্রুতই ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন এফএফএফ সভাপতি।

বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ক্ষমা প্রার্থনা করে লে গ্রেত জানিয়েছেন, তার বক্তব্যে জিদানকে নিয়ে ভাবনার সঠিক প্রতিফলন ঘটেনি। সেই সঙ্গে নিজের মন্তব্যকে 'আনাড়ি' আখ্যা দিয়ে বিষয়টিকে 'ভুল বোঝাবুঝি' বলে দাবি করেন।

তিনি বলেন, 'ওই মন্তব্যগুলোর জন্য আমি ক্ষমা প্রার্থনা করছি। সেখানে যথাযথভাবে আমার ভাবনা প্রতিফলিত হয়নি, কিংবা একজন খেলোয়াড় এবং কোচ হিসেবে তিনি কেমন ছিলেন, তা নিয়ে আমার মূল্যায়নও উঠে আসেনি।

ফ্রান্সের কোচ হওয়ার আগ্রহ জানিয়েছিলেন জিদান। আর একারনেই রিয়ালের দায়িত্ব ছাড়ার পর কোচ হননি কোনো দলের। শেষ পর্যন্ত অবশ্য দিদিয়ের দেশমকেই ২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত রেখে দিয়েছে ফ্রান্স। এখন জিদানের গন্তব্য কোথায়? এ নিয়ে আরএমসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জিদানকে রীতিমতো অসম্মানই করেছিলেন ফ্রান্স ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি নোয়েল লা গ্রায়েত, ‘জিদান আমাকে ফোন করলে কী হতো? কিছুই হতো না। আমি ওর ফোনই তুলতাম না। জিদান কি এখন ব্রাজিলের দায়িত্ব নেবে? আমার কিছু যায় আসে না।

এমন অনাকাঙ্খিত মন্তব্যের পর সমালোচনার ঝড় ওঠে চারিদিকে। ফ্রান্সের ক্রীড়ামন্ত্রী এমিলি ওদিয়া-কাস্তেরা থেকে শুরু করে কিলিয়ান এমবাপ্পে পর্যন্ত একহাত নেন গ্রায়েতকে। চাপে পড়ে গতকাল জিদানের কাছে ক্ষমা চাইলেন গ্রায়েত।

গ্রায়েত ক্ষমা চাওয়ার আগে এবারের বিশ্বকাপে আট গোল করা তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে একহাত নিয়েছিলেন তাঁকে, ‘জিদানই ফ্রান্স। এমন কিংবদন্তিকে আমরা এভাবে অসম্মান করতে পারি না।’

পাঠকের পছন্দ

মন্তব্য করুন