ডেস্ক রিপোর্ট: বহু নাটকীয়তার পর অবশেষে কার্যকর হয়েছে গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি। বেশ কিছুটা বিলম্বের পর স্থানীয় সময় রোববার (১৯ জানুয়ারি) বেলা সোয়া ১১টায় হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। খবর, আল জাজিরার।
এদিকে, যুদ্ধবিরতি কার্যকরের ঘোষণা দেয়ার আগে, এই চুক্তির অংশ হিসেবে মুক্তির জন্য বন্দিদের নামের তালিকা পাওয়ার কথা নিশ্চিত করে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসেম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবেইদা বলেছেন, বন্দি বিনিময় চুক্তির অংশ হিসেবে আজ আমরা রোমি গোনেন (২৪), এমিলি দামারি (২৮) ও ডোরন শানবার খাইরকে (৩১) মুক্তি দিতে যাচ্ছি।
শনিবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর এক ঘোষণায় পরিস্থিতি অনেকটা বুমেরাং হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও করেছিলেন কেউ কেউ। নেতানিয়াহুর বলা কথাগুলোকে অনেকে ফের যুদ্ধে লিপ্ত হবার আগাম বার্তা হিসেবেও ভেবে নিয়েছিলেন। অবশেষে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে কার্যকর হলো যুদ্ধবিরতি।
রোববার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টা থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, হামাস জিম্মিদের তালিকা দিতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ তুলে যুদ্ধবিরতি শুরু হবে না বলে জানায় ইসরায়েল।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি এক বিবৃতিতে বলেন, যতক্ষণ না হামাস যুদ্ধবিরতির শর্ত পূরণ করতে পারছে, ততক্ষণ গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হবে না। হামাস অবশ্য দাবি করে, কারিগরি ত্রুটির কারণে তারা সময় মতো ওই তিন নারী জিম্মির নামের তালিকা প্রকাশ করতে পারেনি।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর শুরু হয় এই যুদ্ধ। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানু্যায়ী ৪৬ হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এই সময়ে। তবে একাধিক গবেষণা ও পশ্চিমা গণমাধ্যমের তথ্য বলছে এই সংখ্যা আরও বেশি।