অবরোধের তৃতীয় দিনে জবির ফটকে ছাত্রদলের তালা
জবি প্রতিনিধি: বিএনপির ডাকা তিনদিনের সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচির তৃতীয় দিনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রবেশের দুইটি ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে শাখা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ পার্শ্বের দুই নম্বর ও চার নম্বর ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয় শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার পর ফটক দুইটি দীর্ঘক্ষণ তালাবদ্ধ অবস্থায় ছিল। পরে সকাল ৮ টার দিকে ফটকের তালা ভেঙে যাতায়াত ব্যবস্থার সুযোগ তৈরি করে দেন শিক্ষার্থী ও ফটক সংশ্লিষ্ট থাকা নিরাপত্তারক্ষীরা। এরপর দ্বিতীয় ফটক দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস ভিতরে প্রবেশ করে।
তালা দেওয়ার কথা স্বীকার করে জবি শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসলাম বলেন, এক দফা দাবি আদায় এবং বিএনপির শান্তিপূর্ণ মহা সমাবেশে পুলিশলীগ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বর্বর হামলা ও গণ গ্রেফতারের প্রতিবাদে আমরা অবরোধ পালন করছি। অবরোধের তৃতীয় দিনে আমরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গেটে তালা ঝুলিয়েছি এবং দেশনায়ক তারেক রহমানের জনগনের স্বার্থ রক্ষার অবরোধ সফল করার লিখিত ব্যানার লাগিয়ে দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ফ্যাসিস্ট সরকারের আজ্ঞাবহ প্রশাসন জনগনের স্বার্থ রক্ষার অবরোধকে সমর্থন জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখবেন। আর যদি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ না রাখেন সামনের যে কোন সহিংসতা এবং অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দায়ী থাকবেন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল বলতে চায় আমাদের এক দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত যতই হামলা মামলা গ্রেফতার করুক আমরা রাজপথে ছিলাম, আছি, ইনশাআল্লাহ জনগণের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথেই থাকবো
সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্ল্যা বলেন, সরকার যত বেশি বাধা ও হামলা-মামলা দেবে, সরকারের ও তাদের সাঙ্গপাঙ্গদের পতন ততো ভয়ংকর হবে। যখন কোনো দেশে ফ্যাসিস্ট সরকার চেপে বসে, তখন সেই সরকার প্রতিটি সেক্টরে দূর্নীতির আখড়া তৈরি করে। বর্তমানে কিছু স্বার্থানেষী কর্মকর্তা, এত দূর্নীতি করছে, ভবিষ্যতে তাদের বিচার হবে ভয়ে জনগণের সেবক না হয়ে ফ্যাসিস্টি সরকারের দালালি করছে। এভাবে পুলিশ দিয়ে, গুন্ডা বাহিনি দিয়ে আন্দোলন থামানো যাবে না। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল এই সরকার পতনে যে দূর্বার আন্দোলন গড়ে উঠেছে তার সামনে থেকে ভূমিকা রাখছে এবং রাখবে।
এবিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টরদের বারবার কলা দেয়া হলেও তারা ফোন রিসিভ করেন নি।