কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ছাত্রী ফুলপরীকে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি অন্তরাসহ পাঁচ ছাত্রীকে সাময়িক বহিষ্কারের আদেশ বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। একই সাথে ওই ৫ জনের সাজা পুনরায় নির্ধারণ করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বুধাবার (২৬ জুলাই) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন। এ বিষয়ে আগামী ২৩ আগস্ট প্রতিবেদন দাখিলেরও নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
এর আগে গত ১৫ জুলাই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো: আব্দুস সালামের নেতৃত্বে ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে ছাত্র শৃঙ্খলা অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী ওই ৫ শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করা হয়।
এ সময় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর প্রফেসর ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে স্টুডেন্টস কোড অব কন্ডাক্ট অনুযায়ী অভিযুক্তদের এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে এক নবীন ছাত্রীকে রাতভর নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের অভিযোগ উঠে শাখা ছাত্রলীগ নেত্রী ও পরিসংখ্যান বিভাগের সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম, মোয়াবিয়া জাহান, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মীম ও ফাইন আর্টস বিভাগের হালিমা খাতুন উর্মীর বিরুদ্ধে।
ওই ছাত্রীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট হল, বিশ্ববিদ্যালয় ও জেলা প্রশাসন এবং শাখা ছাত্রলীগ পৃথক চারটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। সব কমিটিই ঘটনার সত্যতা পায়। তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে হাইকোর্টের নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঁচ অভিযুক্তকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এছাড়া হল প্রশাসনের সিদ্ধান্তে হল থেকে বহিষ্কার ও ছাত্রলীগ তাদের তদন্তের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের দল থেকে বহিষ্কার করেন।