জটিলতা কাটাতে এনটিআরসি’র সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির কার্যক্রম অটোমেশনের আওতায় আনার কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। রোববার (৫ জুন) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা এনটিআরসিএ’র পাওয়ার পরও কোথাও কোথাও শিক্ষকদের যোগদান করার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। তাদের চাহিদা মোতাবেক সুপারিশ করা হয়ে থাকে। তারপরও কেউ এমন প্রতিবন্ধকতা তৈরি করলে আমাদের কাছে অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেবো।
আরেক প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন কারণে এমপিওভুক্তির কাজ বিকেন্দ্রীকরণ করা হয়েছে। এ পদ্ধতি ভালো সেটি রাখা হবে। তবে এনটিআরসিএ’র মাধ্যমে যারা নিয়োগের জন্য সুপারিশ পাবে তাদের নিবন্ধন পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের আগে যাচাই-বাছাই কাজ শেষ করা হবে। এমপিওভুক্তি পাওয়ার জন্য শুধু সুপারিশপত্র জমা দিলে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কার্যক্রমে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এ বিষয়ে কী কী পরিবর্তন করা যায় সেটির একটি প্রস্তাব এনটিআরসিএ’র কাছে চাওয়া হয়েছে। সেটি পেলে নিয়োগ কার্যক্রম রিভিও করা হবে। বর্তমানে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির জন্য কাজ শুরু করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে চতুর্থ ধাপে শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।
এদিকে দীর্ঘদিন ধরে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে ম্যানেজিং কমিটি কর্তৃক নিয়োগ দেওয়া হতো। সেখানকার নগ্ন নিয়োগ-বাণিজ্যের অবস্থা চরমে উঠলে সরকার সেই নিয়োগ ক্ষমতা ম্যানেজিং কমিটির কাছ থেকে সরিয়ে নেয়। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)-কে শিক্ষক সুপারিশের দায়িত্ব দেওয়া হয়। আশ্চর্যজনকভাবে নিয়োগদানের জন্য যাবতীয় কার্যক্রম রেখে দেওয়া হয় ম্যানেজিং কমিটি ও প্রতিষ্ঠান-প্রধানের কাছেই। যে কারণে এখন অবধি এনটিআরসিএ কর্তৃক সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের নিয়োগলাভের পথ নিষ্কণ্টক হয়নি। রয়ে গেছে এমপিওকরণে নাজুক অবস্থা। তবে এমপিওভুক্তির কার্যক্রম অটোমেশনের আওতায় আনলে এসব সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।