The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪

অগ্রণী ব্যাংক এমডির অর্থপাচারের অভিযোগ তদন্তে দুদক

অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শামস-উল ইসলামের বিরুদ্ধে ঘুষ ও অবৈধ সুবিধা নিয়ে ঋণ, নিয়োগ ও বদলি বাণিজ্যের অভিযোগ তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দুমন কমিশন (দুদক)। অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ বিদেশে পাচারের অভিযোগ খতিয়ে দেখবে সংস্থাটি। এ জন্য শামস-উল ইসলাম ও তার স্ত্রী নাসরিন হাসান চৌধুরীর ব্যাংক হিসাবের তথ্য চাওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়।

ব্যাংকগুলোতে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, শামস-উল ইসলামের বিরুদ্ধে ঘুষ ও অবৈধ সুবিধা নিয়ে ঋণ দেওয়াসহ নিয়োগ ও বদলি বাণিজ্য করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতপূর্বক মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে বিদেশে পাচার ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার ও তার স্ত্রী বা স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অন্য কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংক হিসাব থাকলে জানাতে হবে। চলমান, সুপ্ত বা ইতিপূর্বে কোনো হিসাব বন্ধ হয়ে থাকলে সে তথ্য দিতে হবে। ব্যাংকগুলোতে পাঠানো চিঠিতে শামস উল-ইসলাম ও তার স্ত্রীর ঠিকানা হিসেবে রাজধানীর উত্তরার ১ নম্বর সেক্টরের ১৩ নম্বর রোডের একটি বাড়ির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

দুদকের অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্যের জন্য শামস-উল ইসলামের সাথে টেলিফোনে যোগাযোগ করলে তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

শামস-উল ইসলাম ১৯৮৪ সালে অগ্রণী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেন। ব্যাংকটির বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্ব পালন শেষে ২০০৮ সালে মহাব্যবস্থাপক হিসেবে পদোন্নতি পান। পরবর্তীতে ডিএমডি হন। এর পর প্রথমে তাকে আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০১৬ সালে তিন বছরের জন্য অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। ২০১৯ সালে মেয়াদ শেষে আরও তিন বছরের জন্য তাকে এমডি করা হয়। চলতি বছরের আগস্টে তার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.

  1. প্রচ্ছদ
  2. অপরাধ ও শৃঙ্খলা
  3. অগ্রণী ব্যাংক এমডির অর্থপাচারের অভিযোগ তদন্তে দুদক

অগ্রণী ব্যাংক এমডির অর্থপাচারের অভিযোগ তদন্তে দুদক

অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শামস-উল ইসলামের বিরুদ্ধে ঘুষ ও অবৈধ সুবিধা নিয়ে ঋণ, নিয়োগ ও বদলি বাণিজ্যের অভিযোগ তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দুমন কমিশন (দুদক)। অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ বিদেশে পাচারের অভিযোগ খতিয়ে দেখবে সংস্থাটি। এ জন্য শামস-উল ইসলাম ও তার স্ত্রী নাসরিন হাসান চৌধুরীর ব্যাংক হিসাবের তথ্য চাওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়।

ব্যাংকগুলোতে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, শামস-উল ইসলামের বিরুদ্ধে ঘুষ ও অবৈধ সুবিধা নিয়ে ঋণ দেওয়াসহ নিয়োগ ও বদলি বাণিজ্য করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতপূর্বক মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে বিদেশে পাচার ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার ও তার স্ত্রী বা স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অন্য কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংক হিসাব থাকলে জানাতে হবে। চলমান, সুপ্ত বা ইতিপূর্বে কোনো হিসাব বন্ধ হয়ে থাকলে সে তথ্য দিতে হবে। ব্যাংকগুলোতে পাঠানো চিঠিতে শামস উল-ইসলাম ও তার স্ত্রীর ঠিকানা হিসেবে রাজধানীর উত্তরার ১ নম্বর সেক্টরের ১৩ নম্বর রোডের একটি বাড়ির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

দুদকের অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্যের জন্য শামস-উল ইসলামের সাথে টেলিফোনে যোগাযোগ করলে তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

শামস-উল ইসলাম ১৯৮৪ সালে অগ্রণী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেন। ব্যাংকটির বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্ব পালন শেষে ২০০৮ সালে মহাব্যবস্থাপক হিসেবে পদোন্নতি পান। পরবর্তীতে ডিএমডি হন। এর পর প্রথমে তাকে আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০১৬ সালে তিন বছরের জন্য অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। ২০১৯ সালে মেয়াদ শেষে আরও তিন বছরের জন্য তাকে এমডি করা হয়। চলতি বছরের আগস্টে তার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

পাঠকের পছন্দ

মন্তব্য করুন