তাফহিম, কক্সবাজারঃ কক্সবাজার জেলা শহরের সরকার নিবন্ধিত ঐতিহ্যবাহী সংগঠন ‘অংশীদার যুব সংঘের’ অফিস জবরদখল চেষ্টা ও লুটের ঘটনায় ৪ দিন অতিবাহিত হলেও কোন সুষ্ঠু সুরাহা হয়নি। ফিরিয়ে পাননি লুট করা প্রয়োজনীয় মালামাল, কাগজপত্র এবং জেলায় বিভিন্ন সময় খেলাধুলায় অর্জিত ট্রফি গুলো। এতে সংগঠন নেতৃবৃন্দ নানাভাবে বিপর্যস্ত অবস্থায় আছেন সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটা জানিয়েছেন ভুক্তভোগী।
শনিবার ২৪ ডিসেম্বর ২০২২ বিকেলে জেলা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পৌর শহরের লালদিঘীরপাড় কাছারী পাহাড় এলাকার মৃত সৈয়দ নুরের পুত্র, উক্ত সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক রমজান আলী সিকদার।
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, ‘অংশীদার যুব সংঘ’ সমাজসেবা অধিদপ্তরের নিবন্ধিত সংগঠন। এটি তাঁরই হাত ধরে ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। যার (রেজিঃ নং-১৬৫।
বক্তব্যে তিনি জানান, বিগত কিছুদিন ধরে লোভের বশীভূত হয়ে একটি ভুমিগ্রাসী ও মাদক কারবারি এবং বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত অপরাধী চক্র জোরপূর্বক এই প্রতিষ্ঠানটি নিজেদের দখলে নিয়ে অস্তিত্ব বিলীন করার পায়তারা করছেন। তারই ধারাবাহিকতায় সদর মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ বরাবর ১৬ ডিসেম্বর একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়, যার নং-১১৩৪। বিষয়টি র্যাবকেও অবহিত করা হয়। বিষয়টি জেনে ওইসব অপরাধী চক্র ক্ষুদ্ধ হয়ে ২০ ডিসেম্বর মধ্যরাতে অনধিকার, বেআইনি ভাবে দলবল নিয়ে অংশীদার যুব সংঘের অফিসের তালা ভেঙে প্রবেশ করে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। প্রায় ২ লাখ টাকার অফিসের ব্যবহ্ত মালামাল ও কাগজপত্র লুট করে। এর প্রতিবাদ করলে প্রাণে মারার হুমকিসহ মিথ্যা মামলায় জড়ানোর ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন হামলাকারীরা। সার্বিক বিষয়ে প্রতিকার কামনা করে ২১ ডিসেম্বর পূনরায় সদর মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ বরাবর এজাহার দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে উপরোক্ত বিষয়ে সার্বিক বিবেচনা ও তদন্তে সদর মডেল থানার এএসআই রিয়াজকে দায়িত্ব দেয়া হলে তিনি ২২ ডিসেম্বর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি সুষ্ঠু সুরাহার আশ্বাস প্রদান করেন।
এঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হলে অংশীদার যুব সংঘ বিক্ষোভ মিছিল, প্রতিবাদ সভাসহ মানববন্ধন করার ঘোষণা দেন সংগঠন সভাপতি রমজান আলী সিকদার।