সরকারি কর্মচারীদের গ্রেপ্তারে আগেই অনুমতি নেওয়ার বিধান বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালত বলেছেন, সরকারি কর্মচারীদের গ্রেপ্তারে পূর্বানুমতির বিধান বেআইনি। এটি সংবিধান পরিপন্থি ও মৌলিক অধিকারেরও পরিপন্থি।
এর আাগে ফৌজদারি মামলায় সরকারি কর্মচারীদের গ্রেপ্তারে সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের অনুমতির বিধান রেখে তিন বছর আগের ‘সরকারি চাকরি আইন’ নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন হাইকোর্ট। আদালত মনে করছে, এমন বিধানের মানে হচ্ছে, বিশেষ একটি গোষ্ঠীকে দায়মুক্তি দেওয়া। এমন বিধান দুর্নীতিতে উৎসাহ জোগাবে।
বিধানের বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুলের উপর বুধবার শুনানির সময় বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাই কোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন। বুধবারই রুলের শুনানি শেষে আজ বৃহস্পতিবার রায় দিলেন আদালত।
২০১৮ সালের ১৪ নভেম্বর সরকারি চাকরি আইন-২০১৮ এর গেজেট জারি করা হয়। ২০১৯ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর এক গেজেটে ১ অক্টোবর থেকে এ আইন কার্যকর হয়।
আইনের ৪১ (১) ধারা অনুযায়ী, ‘কোনো সরকারি কর্মচারীর দায়িত্ব পালনের সহিত সম্পর্কিত অভিযোগে দায়েরকৃত ফৌজদারি মামলায় আদালত কর্তৃক অভিযোগপত্র গৃহীত হইবার পূর্বে, তাহাকে গ্রেপ্তার করিতে হইলে, সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি গ্রহণ করিতে হইবে।’
আইনের এ ধারা চ্যালেঞ্জ করে ২০১৯ সালের ১৪ অক্টোবর হাইকোর্টে আবেদন করে পরিবেশবাদী ও মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)।