The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বুধবার, ৩০শে অক্টোবর, ২০২৪

শখের পাখি এখন তামিমের আয়ের উৎস

এলাকায় সবাই তাকে চেনেন ‘পাখি তামিম’ নামে। প্রথমে পাখি পালন করা তার শখ হলেও এখন তা আয়ের উৎসে পরিণত হয়েছে পাখি প্রেমি তামিম আহমেদের। ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল পৌর শহরের মোকশেদ আলীর ছেলে তামিম আহমেদ। তিনি রানীশংকৈল উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি।

নতুন উপজেলা কমিটির সভাপতি প্রার্থী তামিম। তার পাখির খামার দেখতে ও কিনতে প্রতিদিন অনেক পাখিপ্রেমী আসছেন তার খামারে। তার দেখাদেখি পাখি পালনে আগ্রহী হচ্ছেন শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ।

তামিমের বাসার কাছে গেলেই শোনা যায় পাখির কিচিরমিচির মধুর ডাক। তার বাড়ির ছাদে সুন্দর ও পরিচ্ছন্নভাবে সাজানো পাখির খাঁচা। নানা প্রজাতির অসংখ্য লাভবার্ড, কাকাতুয়া, ফিঞ্চ, দেশি-বিদেশি কবুতরসহ বিভিন্ন পাখি। আর এসব পাখির মধ্যে কিছু ওড়াউড়ি করছে। কিছু বাসা বানাচ্ছে। এরকম মনোরম দৃশ্য দেখতে অনেকেই আসছেন তার পাখির খামারে। তার পাখির খামার দেখতে ও কিনতে প্রতিদিন অনেক পাখিপ্রেমী আসছেন তার খামারে। তার দেখাদেখি পাখি পালনে আগ্রহী হচ্ছেন শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ।

খামার দেখতে আসা রাকিব আহমেদ বলেন, পাখির কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখার পর আজ সরাসরি দেখতে এসেছি। দেখে খুব ভালো লাগল। আমি বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ নিয়েছি। আমিও বাসায় এমন একটি পাখির খামার করবো।

পাখিপ্রেমী তামিম হোসেন বলেন, ছোটবেলা থেকেই পাখির প্রতি ভালোবাসা ছিল। ২০১৪ সালে দুটি বাজরিগার পাখি এনে বাসার ছাদে একটি খাঁচায় রাখি। পরে সেই পাখি বাচ্চা দিলে সেটিকে বড় পরিসরে করার চিন্তা করি। ২০১৮ সালে বগুড়া থেকে ১৮ জোড়া পাখি কিনে এনে ছাদে একটি পাখির সেট তৈরি করি। কিছু দিন যাওয়ার পর পাখিগুলো ডিম দেওয়া শুরু করে। তারপর ক্রমশ পাখির সংখ্যা বাড়তেই থাকে। এখন ৫০ জোড়ার অধিক পাখি আছে আমার খামারে। খামারটি করতে ৪০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। প্রতিমাসে খরচ বাদ দিয়ে তিন হাজার টাকার মতো লাভ আসে। বিগত চার বছরে লাখ টাকার বেশি আয় করেছি।

তামিম আহমেদ বলেন, আগামীতে আরও বড় পরিসরে পাখির খামার করার ইচ্ছে আছে। সেই সঙ্গে এখানে কিছু মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে চাই।

 

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.